মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চে সিবিআইয়ের পিটিশন করা গরু পাচার মামলাটি উঠে। মামলাকারীর আইনজীবী আবেদনে সাড়া দিয়ে গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক কে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় এই সিঙ্গেল বেঞ্চ। তবে আসানসোলের সিবিআই আদালতের সরকারি কৌসুলির এই মামলায় অবস্থান নিয়ে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এই রাজ্যে গরু পাচার ঘটনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে মামলা দায়ের করে থাকে। বিএসএফের কয়েক জন সন্দেহভাজন কে ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে একজন বিএসএফের আধিকারিক কে গ্রেপ্তার করে থাকে। আয় বহিঃভূর্ত বিপুল সম্পত্তির হদিস পায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এরেই মধ্যে আরও চারজন বিএসএফ কর্তাদের কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতার দপ্তরে তলব করেছে সিবিআই। বিএসএফের বিভিন্ন আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এনামুল হকের নাম পায়। নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লিতে সিবিআই গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক কে আটক করে থাকে। করোনা পজিটিভের দোহাই দিয়ে দিল্লির সিবিআই আদালতে চৌদ্দদিনের হোম আইলোশনে থাকবার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। গত ১১ ডিসেম্বর আসানসোলের সিবিআই আদালতে গ্রেপ্তারি এড়াতে আত্মসমর্পণ করে এনামুল হক। সিবিআইয়ের পরিকল্পনা ছিল গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক কে গ্রেপ্তার করে কলকাতার ব্যাংকশাল আদালতে সিবিআই এজলাসে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিতে।তা হয়নি। শর্তসাপেক্ষে জেল হেফাজত দেয় আসানসোলের সিবিআই আদালত।ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় এই মামলার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলাটি উঠে। এই মামলায় গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক কে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের এই সিঙ্গেল বেঞ্চ। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামুল হক কে জেরা করে গরু পাচার চক্রের সিন্ডিকেটে বিএসএফ ছাড়াও রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের কোন কোন আধিকারিক সহ প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা জড়িত আছে, তা জানবার চেস্টা করবে বলে জানা গেছে।