গরু পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য বীরভূম জেলা পুলিশের

Spread the love

গরু পাচার রোধে বড়সড় সাফল্য বীরভূম জেলা পুলিশের

সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা তথা পার্শ্ববর্তী রাজ্যের ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন সীমান্ত সহ জেলার নানান থানা এলাকার মধ্যে গরু পাচারের খবর শোনা যাচ্ছিল। এমনকি কখনো পুলিশ তো কখনো গ্রামবাসীরা পর্যন্ত গরু পাচার আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নজির রয়েছে।এবার একযোগে অভিযান চালিয়ে একদিনের মধ্যে তিনটি থানা এলাকা থেকে মোট ৪২৯ টি গরু আটক করে।সেইসাথে দুজনকে আটক করে জেলা পুলিশের গরু পাচার রোধে এ এক বিরাট সাফল্য বলে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য।জানা যায় যে,সোমবার রাত্রি নাগাদ রামপুরহাট থানার আইসি নীলোৎপল মিশ্রের নির্দেশ অনুযায়ী রামপুরহাট থানার পুলিশ গরু পাচার রোধে দুটি জায়গায় অভিযান চালায়। রামপুরহাট থানার এএসআই শীতল মন্ডলের নেতৃত্বে অভিযান চালানোর পর কুসুমডোই গ্রামে ৭৬ টি গরু আটক করা হয়। পাশাপাশি রামপুরহাট থানার এলএএসআই জুলি সাহার নেতৃত্বে স্থানীয় থানার পাইকপাড়া গ্রামেও ১৩২ টি গরু আটক করে পুলিশ। দুটি জায়গা থেকে রামপুরহাট থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট ২০৮টি গরু আটক করে। অন্যদিকে নলহাটি থানার পুলিশের অভিযানের সময় স্থানীয় শালবন এলাকা থেকে ২০১ টি গরু আটক হয়। সেইরূপ মাড়গ্রাম থানার পুলিশের পক্ষ থেকেও অভিযান চালিয়ে স্থানীয় থানার মল্লিকপুর গ্রামের ভোল্লা ক্যানেল মোড় থেকে ২০ টি গরু সহ দুজন ব্যক্তিকে আটক করে।ধৃতদের পরিচয়ে জানা যায় যে,মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম এলাকার মিজানুল মল্লিক এবং অপরজন ঝাড়খণ্ড রাজ্যের শিকারী পাড়া এলাকার মিলন হেমরম। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একপ্রকার একযোগে তিনটি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামেন, যারফলে জেলা পুলিশের এক বড় সাফল্য মেলে।
প্রাথমিক অনুমান যে গরু গুলি পাচারের উদ্দেশ্যে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।এক্ষেত্রে জানা যায় বেশির ভাগ গরু ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দিক থেকেই এনে পাচার হচ্ছিল।ইতিমধ্যে গরু পাচার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান গরু গুলি পাচারের উদ্দেশ্যেই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *