গলসীতে অনুষ্ঠিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
বাড়ির মুমূর্ষু রুগীর জন্য রক্তের দরকার। অথচ বাড়ির কোনো সদস্য কোনোদিনই স্বেচ্ছায় রক্তদান করেনি। বিপদের দিনে রক্তের জন্য সবার ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। ডোনার কার্ড পাওয়া যায়না। এইচিত্র প্রায় সর্বত্রই দেখা যায় – রক্তদান করতে অনিহা। বর্তমানে বিভিন্ন রক্তদান শিবিরে আগ্রহী রক্তদাতাদের ভিড় দেখে অনুমান করা যাচ্ছে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। সমস্ত রকম কুসংস্কার দূর করে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছে স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে। যার একটুকরো নমুনা দেখা গেল গলসী-২ নং ব্লকের সাটিনন্দীতে।
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা ব্যানার্জ্জীর অনুপ্রেরণায় ও গলসী-২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজন মণ্ডলের নির্দেশে ১৪ ই সেপ্টেম্বর সাটিনন্দী অঞ্চলের খানাজংশন বাজারে এক স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় ।
বর্ধমানের টেরেজা ওম ব্লাড সেণ্টারের সহযোগিতায় শিবির থেকে ৫০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন ছিল মহিলা। যদিও রক্ত দেওয়ার জন্য প্রায় ৮০ জন রক্তদাতা উপস্থিত ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে বাকিদের রক্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। এত সংখ্যক মানুষ যে রক্ত দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকতে পারে সেটা উদ্যোক্তারা আশা করেনি। যাইহোক সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে রক্তদাতাদের হাতে একটি করে মেমেণ্টো ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন গলসী-২ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজন মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিলি মোল্লা, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি নব কুমার হাজরা, জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি গুল মহ: মোল্লা, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রুবিমণি কিস্কু, সাটিনন্দী অঞ্চল সভাপতি কানাইলাল চৌধুরী, ব্লক কমিটির অন্যতম সদস্য লক্ষীনারায়ণ রায়, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বনশ্রী যশ, উপপ্রধান সেখ আহমেদ, যুব সভাপতি সেখ ইমরান আলি সহ দলের বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা।
সুজন বাবু বললেন - দলনেত্রীর অনুপ্রেরণা ও বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে রক্তের ঘাটতির জন্য রুগীর পরিবারের সদস্যদের অসহায় অবস্থা দেখে আমরা আমাদের ব্লকের প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে রক্তদান শিবির আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে ৯ টি অঞ্চল আছে। পরবর্তী ৮ দিন ধরে বাকি অঞ্চলগুলিতে রক্তদান শিবির হবে। প্রথম দিনেই যেভাবে সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা আশাবাদী পরবর্তী শিবিরগুলি থেকে আরও বেশি পরিমাণ রক্ত সংগৃহীত হবে। তিনি দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকে রক্তদান করতে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।