মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
রাজ্য রাজনীতিতে এবার আইনী উত্তাপ শুরু হয়েগেল শাসক বনাম বিরোধী দলের মধ্যে।যদিও ইতিপূর্বে বেশকিছু লিগ্যাল নোটিশ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছিলেন বিজেপির বেশ কয়েক জন কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। গত রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাতগেছিয়ায় রাজনৈতিক সভা সারেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লাগাদার ‘ভাইপো’ সম্বোধনে আক্রমনাত্মক হয়ে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী সহ তাঁর ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীর বিরুদ্ধে গুন্ডামী সহ মাফিয়ারাজের অভিযোগ তোলেন। রবিবারসীয় সভায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন – “আমি নাম করে বলছি দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, কৈলাশ বিজয়বর্গীর ছেলে আকাশ বিজয়বর্গী গুন্ডা”। এইবিধ নানান মন্তব্য করে আইনী লড়াইয়েরও হুশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক। পাশাপাশি গতবারের ডায়মন্ডহারবার সাংসদ প্রয়াত সৌমেন মিত্রের অনুন্নয়ন সহ অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রবিবার রাতেই অবশ্য প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা ডায়মন্ডহারবারের প্রাক্তন সাংসদ সৌমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র অভিষেকের এহেন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সারদা – রোজভ্যালি সহ চিটফান্ডের দৌরাত্ম রুখতে দিল্লির দৃষ্টি আকর্ষণ করানো প্রসঙ্গটি তোলেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর আইনজীবী পার্থ ঘোষের মাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে গুন্ডা সম্বোধনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ টি পাঠিয়েছেন। তিনদিনের মধ্যে গুন্ডা মন্তব্য প্রত্যাহার সহ নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা না করলে মানহানি মামলার হুশিয়ারী দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। একজন সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য ভূল বার্তা যাবে, তাই গুন্ডা সম্বোধনে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেন দিলীপ ঘোষ। এইরুপ দাবি রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন – ” ৭ কোটির বাড়িতে থাকিনা, আর গাড়ির কনভয়ে ২৫ টি গাড়িও থাকেনা আমার”। লোকের বাড়িতে থাকি বলে জানিয়েছেন দিলীপ বাবু। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আরেক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফৌজদারি মামলা করার হুশিয়ারি সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন – ” উনি আইন টাও ভালোমতো জানেন না, কেননা ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী রাস্ট্রপ্রতি – রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায়না “। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের এক টুইটার কে ঘিরে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার আবেদন জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন একদা রিজওয়ানুর রহমান খুনের মামলায় আইনজীবী তথা তৃনমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।