খায়রুল আনাম (সম্পাদক সাপ্তাহিক বীরভূমের কথা )
শতবর্ষে রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী গুরুদেবের আত্মনির্ভর ভারতের কথা স্মরণ করালেন আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী মোদি
গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিশ্বের দরবারে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যে ভাবে নতুন চেহারায় প্রকাশ করেছেন, সে কথাই স্মরণ করালেন বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। এবার বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে ৮ পৌষ, ২৪ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে আসার আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি আসতে পারেননি। তবে, এদিন তিনি ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন বিশ্বভারতীর আচার্য হিসেবে। এজন্য শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে জায়েন্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে সেই বক্তব্য আমন্ত্রিতদের শোনাবার ব্যবস্থাও করা হয়। এদিন অন্যান্যদের সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রধান তথা রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন শান্তিনিকেতনে উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানে হলেও, তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর লিখিত বার্তায় রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন–” বিশ্বসাথে যোগ যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আজ একশো বছর পূর্ণ করল। শিক্ষার এই মন্দিরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আদর্শ মানুষ তৈরীর চেষ্টা করে এসেছেন। আমাদের অবশ্যই এই মহান স্বপ্নদর্শনের সংরক্ষণ করতে হবে।” এদিন ভার্চুয়াল বক্তব্যে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতীর মধ্য দিয়ে স্বদেশ সমাজের আত্মনির্ভর ভারত গঠনের কথা বলে গিয়েছেন। আদর্শ মানুষ গড়তে রবীন্দ্রনাথ বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিশ্বভারতীর এদিনের অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারের অনুমতি দেয়নি জেনে বিশ্বভারতীর প্রধান তথা রাজ্যপাল এখানকার রতনপল্লিতে “ভারততীর্থ” বাজারের উদ্বোধন করে রতনকুঠিতে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে নালন্দা, মিথিলার উৎকর্ষতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শিক্ষা যে সমাজে বিপ্লব আনতে পারে, এনিয়ে আমার মনে কোনও সংশয় নেই। রবীন্দ্রনাথের বিচারধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেলে অনুশাসনের যে দিক তৈরী হয় তাতে, দেশের কল্যাণ সুনিশ্চিতভাবে হয় বলে তিনি মত প্রকাশ করা ছাড়াও, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতীকে তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলেও উল্লেখ করেন ।।
ছবি : শান্তিনিকেতনে রাজ্যপাল।