গুসকরা হাসপাতালের ডাক্তারদের সম্মান জ্ঞাপন,
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
কথায় আছে Doctors are next to God অর্থাৎ ঈশ্বরের পরেই ডাক্তারদের স্হান। কথাটার মধ্যে আদৌ কোনো অত্যুক্তি নাই। চিকিৎসক সমাজ বারবার সেটা প্রমাণ করে চলেছেন। প্লেগ, ফ্লু, ইবোলা এবং সাম্প্রতিক করোনার মত অতিমারি যখন মানব সমাজের অস্তিত্বকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ঠিক তখনই দেবদূতের মত মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের ডাক্তার সমাজ। নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও অসহায় মানুষদের দিকে বরাভয়ের হাত তুলে দাঁড়িয়েছে ডাক্তাররাই। প্রকৃত বীরের মত প্রত্যাশার বাইরেও মানুষের সেবা করে গ্যাছে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তার ও রুগীর সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকায় ১৯৩৩ সালের ৩০ শে মার্চ প্রথম আলোচনা হয়। ১৯৯০ সালের ৩০ শে মার্চ তারিখটি আমেরিকায় 'ডাক্তার দিবস' হিসাবে পালন করা হয়। একইভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশও আলাদা আলাদা তারিখে 'ডাক্তার দিবস' পালন করতে শুরু করে।
ভারতের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সালের ১ জুলাই তারিখটি 'ডাক্তার দিবস' হিসাবে প্রথম পালন করা হয়। ঐদিনটি পশ্চিমবঙ্গের রূপকার তথা দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন। চিকিৎসক হিসাবে তিনি ছিলেন 'লিজেণ্ড'। তিনি চিকিৎসা করেছেন বহু মানুষের কিন্তু তার বেশি সংখ্যক মানুষকে উৎসাহিত করেছেন।তাই এই মহান ডাক্তারের জন্মদিনটিকে 'ডাক্তার দিবস' হিসাবে বেছে নিতে ভারত সরকার দ্বিধা করেনি।
তবে তারিখ আলাদা হলেও প্রতিটি দেশের লক্ষ্য কিন্তু একটাই - চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য নিজ নিজ দেশের ডাক্তারদের সম্মান জানানো। সেই দিকেই লক্ষ্য রেখে গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গুসকরা হাসপাতালের দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ দেবতনু দত্ত ও ডাঃ অভিষেক ঘোষের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সম্মান জানানো হয়। তখন উপস্থিত ছিলেন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী, কাউন্সিলর যমুনা শিকারী, শহর তৃণমূল যুব সভাপতি উৎপল লাহা, তৃণমূল কর্মী পিণ্টু ঘোষ প্রমুখ।
সম্মান পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন দুই ডাক্তার। পরে ডাক্তার দত্ত বলেন - স্হানীয় প্রশাসন যখন এইভাবে সম্মান জানান তখন তার গুরুত্ব আলাদা। তিনি আরও বলেন - আমরা কাজ করি একটা 'টিম' হিসাবে। তাই এই সম্মান এই চিকিৎসা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের। সবার সহযোগিতায় এই সম্মানের মর্যাদা রাখতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব।
কুশল বাবু বলেন - ডাক্তার দত্তের নেতৃত্বে গুসকরা হাসপাতাল যেভাবে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে সেটা সত্যিই গর্বের ব্যাপার। করোনার সময় তাদের অবদান ভোলার নয়। 'ডাক্তার দিবস' - এ তাদের সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে করছি।