গুসকরায় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’

Spread the love

গুসকরায় সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,

          জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে  বেড়ে চলেছে যানবাহন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গতির প্রতিযোগিতা। সেই তুলনায় রাস্তাঘাট বাড়েনি। সেটা বাস্তবে সম্ভব নয়। ফলে দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিষয়টি লক্ষ্য করে রাজ্যের সংবেদনশীল মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছর আগে 'সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ' কর্মসূচি গ্রহণ করেন। মূল লক্ষ্য ছিল  দুর্ঘটনা জনিত মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত প্রকল্পকে সফল করার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠে রাজ্যের সমস্ত থানা আধিকারিকরা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। একদিকে মানুষকে সচেতন করা ও অন্যদিকে ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ। মিলিত ফল দুর্ঘটনার হার বা সংখ্যা কমে আসা। এবার সেই স্বপ্নের অথচ কার্যকরী প্রকল্পের পঞ্চম বর্ষ পূর্তি।

‌ রাজ্যের অন্যান্য থানার সঙ্গে আউসগ্রামের গুসকরা বিট হাউস ও ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে ৮ ই জুলাই গুসকরা বাসস্ট্যান্ডে পালিত হলো পঞ্চম ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। গুসকরা বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিল শুরু হয় এবং শিরিষতলা ও স্কুল মোড় হয়ে পুনরায় বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসে। মিছিলে পা মেলান আউসগ্রাম থানার আই.সি উত্তম মণ্ডল, গুসকরা বিট হাউসের ও.সি পুষ্পেন্দু জানা, ট্রাফিক ওসি বিশ্বনাথ পাইন সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক ও সমস্ত সিভিক ভলেনটিয়ার এবং গুসকরা তৃণমূল কংগ্রেস শহর সভাপতি কুশল মুখার্জ্জী ও আইটি সেলের রবিনাথ আঁকুড়ে। পরে বাসস্ট্যান্ডে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠান হয়।
সেখানে ৫০ টি টোটোতে নিজের হাতে লুকিং গ্লাস লাগিয়ে দেন আইসি, ওসি, ট্রাফিক ওসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক এবং শহর সভাপতি। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য অন্যান্য টোটো চালকদের লুকিং গ্লাস লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও গোটা শহর জুড়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। বিট হাউস সূত্রে জানা যাচ্ছে আগামী দিনে মাঝে মাঝে এই প্রচার কর্মসূচি চালু থাকবে।
এর আগে আইসি সহজ-সরল ভাষায় মোটরসাইকেল আরোহীদের সাবধানে গাড়ি চালানর ও হেলমেট ব্যবহার করার এবং গাড়ি চালানর সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন – জরিমানা হয়তো দেওয়া গেল কিন্তু সামান্য একটা ভুলের জন্য জীবন ফিরে পাওয়া যাবেনা।
একই সুর শোনা যায় ওসির কণ্ঠে। তিনি নিজের পরিবারের স্বার্থে সবাইকে সচেতন হতে বলেন। তিনি আরও বলেন শুধু পুলিশ নয় জনগণের সহযোগিতা এই প্রকল্পকে সাফল্যের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেবে। সবার মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনা কমলেও আমাদের লক্ষ্য সেটা শূন্যে নামিয়ে আনা। আশা করা যায় সবার সহযোগিতায় সেটা দ্রুত সম্ভব হবে।
অন্যদিকে বিশ্বনাথ বাবু বলেন – আমরা নিয়মিত গুসকরার বিভিন্ন এলাকায় ‘চেকিং’ করছি। আগামী দিনে সেটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *