মোল্লা জসিমউদ্দিন, সুদীপ প্রামাণিক,
গরম এখনও সেভাবে পড়েনি।তবে পানীয়জলের সংকট ক্রমশ বাড়ছে মঙ্গলকোটের বিভিন্ন অঞ্চলে।যে মঙ্গলকোটে কুড়ি বছর আগে পঞ্চাশ ফুটের মধ্যেই স্বাভাবিক ভূগর্ভস্থ জলস্তর মিলতো। সেই মঙ্গলকোটে বর্তমানে মাটির ভেতরে দেড়শো ফুটের বেশি যেতে হয়। সরকারী টিউবওয়েল গুলি বেশিরভাগই অকেজো বলা যায়।অজয় – কুনুর নদীর তীরে গ্রামগুলিতে পানীয়জলের সমস্যা দেখা দিতো না।দশ ফুট খাল করলেই মিলতে পানীয়জল। সেখানে শুধুই যেন মরুভূমির প্রান্তর! চাষাবাদে যততত্র সাবমারসেবলের অপব্যবহার, আবার ইটভাটাগুলিতে ভূগর্ভস্থ মিস্ট পানীয়জলের ব্যাপক ব্যবহার বর্তমানে মঙ্গলকোট ‘গ্রে’ তালিকায় উঠে আগামীদিনে ভয়াবহ পানীয়জলের হাহাকারের সংকেত দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। জলের অপর নাম জীবন অথচ এই একবিংশ শতাব্দীতে আজও মিটলো না জলসঙ্কট। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের চাণক গ্রামের জল সংকট দেখা দিয়েছে। ৬ মাস আগে সজল ধারা প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তার কোনো সুব্যবস্থা নেই, প্রত্যেক গ্রামবাসী ১০০০-১৫০০ টাকা খরচ করে পাইপ লাইন সংযোগ করলেও আজও জলের দেখা মেলেনি। যে কয়েকটা পঞ্চায়েতের টিউবওয়েল ছিল তার বেশির ভাগই বিকল হয়ে পড়ে আছে।মঙ্গলকোটের ধর্মরাজ তলা, মেটেপারা, স্বর্ণকারপারা, পূর্বপাড়া সহ আরও কিছু জায়গায় বিকল অবস্থায় রয়েছে পঞ্চায়েতের টিউবওয়েল গুলি। ভরা গ্রীষ্মের আগেই দেখা দিয়েছে জলের হাহাকার। তাই বাধ্য হয়েই অন্যের বাড়ীতে জল আনতে হয় গ্রামের গরীব মানুষদের। কবে মিটবে এই সমস্যার সমাধান, কবে আসবে সজল ধারার পানীয় জল? কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। ভোট আসে আর যায়, শুধুই প্রতিশ্রুতি মেলে বলে দাবি স্থানীয়দের।তবে ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে – ‘ বেশিরভাগ গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় হাজার লিটারের ট্যাংক সহ সাবমারসেবল বসানো হয়েছে ‘। তবে যেভাবে এই ট্যাংক সহ সাবমারসেবল গুলিতে পানীয়জলের অপব্যবহার বিশেষত গনহারে স্নানপর্ব চলে।সেখানে আগামীদিনে জলের সংকট ক্রমশ বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।