মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
জীবনমুখি গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি জীবনের ধারাপাতে কতটা বাস্তব, তার প্রমাণ ফের মিললো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে।করোনা আবহে যেখানে বাড়ীর বাইরে অযথা না বেরোনোর প্রচার চলছে অবিরত। সেখানে মাসের পর মাস ঘরের বাইরে নব্বই পার হওয়া এক প্রবীণ দম্পতি নিরাপত্তাহীনতায় পথেঘাটে ঘুরছে। কখনো ফুটপাত আবার কখনো বা কোন আত্মীয়র বাড়ি।দাবি, সুবিচারের আশায় চাকদহ থানায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেছিলেন বড় দারোগার হস্তক্ষেপ চেয়ে। তবে তা হয়নি অজ্ঞাত কারনে। এইভাবেই কাটছিলো সময়ের গতিপথ। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী বৈদূর্য ঘোষাল – মুকুল বিশ্বাসরা এই প্রবীণ দম্পতিকে নিজ ঘরে ফেরাতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন। নদীয়ার চাকদহে ছাতিনতলার প্রাক্তন পুলিশ কর্মী হীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী (৯০) তাঁর সম্পত্তির একাংশ এক ছেলে কে লিখে দেওয়ায় বাকি চার সন্তান ক্ষুব্ধ হয়। এই চারজন সম্পত্তি সমভাগে লিখবার জন্যে তাঁদের বাবা ও মা কে বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণের মধ্যেই বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেন বলে অভিযোগ। আগস্ট মাসে এই ঘটনা টি ঘটেছিল বলে জানা গেছে। প্রায় চারমাস ঘরছাড়া রয়েছেন প্রবীণ এই দম্পতি। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এই মামলাটি উঠে। সেখানে বিচারপতি নদীয়ার চাকদা আইসি কে দ্রুত এই দম্পতি কে বাড়ীতে পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্ন না হয় অর্থাৎ পারিবারিক হিংস্বার শিকার যাতে না হন এই দম্পতি। সেই ব্যাপারেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। নদীয়া জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কলকাতা হাইকোর্টের আদেশনামা এখনো তারা হাতে পাইনি।তবে হাতে অর্ডারকপি পেলে মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।