“ঘরে ঘরে চাই রক্তদাতা”
“ঘর ঘর মে চাহিয়ে রক্তদাতা”
স্বেচ্ছায় রক্তদানে ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষ ও যুব সমাজকে এগিয়ে আসার লক্ষে সামাজিক সচেতনতার বার্তার উদ্বেশ্যে নিয়ে ৫৩ বছর বয়সী হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি থানার অন্তর্গত চাঁপদানির বাসিন্দা জয়দেব রাউৎ তার এক বছরের সাইকেলে ভারত পরিক্রমা সমাপ্ত করতে চলেছেন আগামী ইংরাজী ৮.৯.২০২৩ তারিখে নিজ এলাকায়। আজ শক্তিগড়ে বড়শুল কিশোর সংঘের পক্ষ থেকে জয়দেব বাবুকে ফুলের তোড়া ও উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধিত ও উৎসাহীত করেন সংঘের সদস্যা রিয়াপ্রিয়া দত্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পার্থ ঘোষ (সম্পাদক), মলয় হালদার (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), ইন্দ্রজিৎ মুর্খাজী(ক্রীড়া সম্পাদক), বিশ্বজিৎ দত্ত(সদস্য – কার্যকরী কমিটি)। বড়শুল কিশোর সংঘের সম্পাদক ও পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলেন্টারী ব্লাড ডোনারস্ ফোরামের সহ সভাপতি পার্থ ঘোষ জানান ঠিক এক বছর আগে ৪.৯.২০২২ তারিখে জয়দেব বাবু তার নিজস্ব সাইকেলে ভারত সফর যাত্রা শুরু করেন মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করার বার্তা দিতে। পার্থ বাবু আরও বলেন সাইকেলে সারা ভারতবর্ষ ভ্রমণ করে মানুষের কাছে তাঁর বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য যেমন ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীরের কিছু অংশ,রাজস্থান,গুজরাট, মহারাষ্ট্র ,ছত্রিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, কন্যাকুমারিকা, অন্ধ্রপ্রদেশ ঘুরে সবশেষে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে ঘুরে আজ আমাদের পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় পেরিয়ে হুগলী জেলায় প্রবেশ করবেন। পার্থ বাবু বলেন জয়দেব বাবু প্রায় ২১০০০ কিলোমিটার রাস্তা সাইকেল চালিয়ে রক্তদানের মতো মহৎই একটা প্রচারের উদ্দেশ্যে আজ জয়দেব বাবু বাড়ি ছাড়া হয়েছেন সমাজকে একটা একটা সুস্থতার বার্তা দিতে। তাই আমাদের মতো সামাজিক সংগঠনের তরফ থেকে উৎসাহিত করাও আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমরা ওনার সবসময়ই সুস্থতা কামনা করছি যাতে উনি এইরকমই কাজে ভবিষ্যতেও নিয়োজিত থাকতে পারেন।
অনুপ্রেরণা রক্তদান ইন্ডিয়া এর সম্পাদক কবি ঘোষ জানিয়েছেন, জয়দেব রাউৎ আমাদের রক্তদান প্রসারের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডার। সারা দেশে ৩৩০ দিন ধরে একনাগাড়ে সাইকেল করে ১৯টি রাজ্যে প্রচার করে নজির স্থাপন করেছেন। দেশের ও রাজ্যের সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি জয়দেব রাউৎকে সম্মানিত করার জন্য। জয়দেব বাবু বলেন আমার দীর্ঘ এক বছরের যাত্রা পথে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসনিক পদাধিকারিক ব্যক্তিগন,স্বাস্থ্য দপ্তর, স্কুল – কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন ক্লাব ও এনজিও পক্ষ যেভাবে সম্মানিত ও সহযোগিতা করা হয়েছে তাতে আমি অভিভূত।