চলে গেলেন বিশিষ্ট মৃৎ শিল্পী পশুপতি কুম্ভকার পাঁচমুড়ায় শোকের ছায়া
:—সাধন মন্ডল বাঁকুড়া:– টেরাকোটা শিল্পে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী প্রয়াত রাসবিহারী কুম্ভকারের সন্তান সন্ততিদের মধ্যে যিনি বেঁচে ছিলেন সেই সেজো সন্তান রাজ্য সহ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু সম্মানে সম্মানিত পশুপতি কুম্ভকার আজ ৯৫ বছর বয়স অতিক্রম করে সকাল সাত ঘটিকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যাবার আগে রেখে গেলেন তার তিন পুত্র সন্তান এবং দুই কন্যা সন্তান এবং ১৩ জন নাতি নাতনিদের । তিনি কয়েকবার হস্তশিল্পে রাজ্য পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক উৎসাহী হস্তশিল্পী সংগঠনের কাছ থেকে বহু সম্মান পেয়েছে। তিনি এবং তার পুত্র বাউল দাস কুম্ভকার সার্ক সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। রোটারি ক্লাব থেকে বিশেষ সম্মান পেয়েছিলেন। ভারতের সর্বপ্রথম সুরজ কুন্ড মেলাতে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন ।তিনি তার বাবা রাসবিহারী কুম্ভকারের সম্মানকে মাটির কাজের মাধ্যমে বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। তার পুত্ররাও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বর্তমানে তার সম্মান বজায় রাখার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রাসবিহারী বাবু র১৩জন নাতির বৃহৎ পরিবারে এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ। বিদায় বেলায় পাঁচমুড়া মৃৎ শিল্প সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় । তার মৃত্যুতেপাঁচমুড়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকস্তব্ধ পাঁচমুড়ার মৃৎশিল্পীরা
এখানে উল্লেখ্য পশুপতি কুম্ভকার বাবুর মৃত্যু র চার দিন আগে এই রসবিহারী পরিবারের ১৩ নাতির মধ্যে প্রথম নাতি বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী রাজ্য পুরস্কারে পুরস্কৃত ধীরেন্দ্রনাথ কুম্ভকার দীর্ঘ রোগভোগের পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মৃত্যু কালে তার একমাত্র পুত্র ভূতনাথ কুম্ভকার এবং তিন কন্যা সন্তানকে রেখে গেছেন। সবে মিলে এই রাসবিহারী পরিবার এবং কুমোর পাড়ায় শিল্পীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।