মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু)
ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ জীবনবিমা কোম্পানি এলআইসি সম্প্রতি পশ্চিমবাংলায় তাদের অফিসে সহকারী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি জারী করে সমস্ত রকম পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পূর্ণ করে থাকে। নিয়োগের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর বেশকয়েক চাকরি প্রার্থী কে বায়োমেট্রিক ম্যাচিং করছেনা বলে তাদের বাতিল করে থাকে এলআইসি কর্তৃপক্ষ। এহেন বাতিলকরণের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীরা সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন। গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের এজলাসে এই মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলে। সেখানে নিয়োগকারী এলআইসি কর্তৃপক্ষ কে বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের উপর মানবিক হওয়ার কথা জানায়। মামলাকারী সূর্পনা সাধুখাঁ, সুরজিত পালদের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী সংবাদমাধ্যম কে জানান – ” ২০১৯ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর এলআইসি তাদের পূর্বাঞ্চল অফিসের জন্য ২৬৩ জন সহকারী শুন্যপদের নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি জারী করে থাকে। বর্ধমান জোনে ১০০, কলকাতার মেট্রোপলিটন জোনে ৬০ এবং কলকাতার সুবার্নন জোনে ১০৩ করে সর্বমোট ২৬৩ জনের নিয়োগের উল্লেখ থাকে ওই বিজ্ঞপ্তিটি তে। ৩০ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা হয়। ৪ ডিসেম্বর ভিডিওগ্রাফি হয় বায়োমেট্রিক, ফটোপ্রুফ, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র গুলির। মেডিকেল এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র গুলি ভেরিভিকেশন হয়। সবকিছু সম্পূর্ণ করে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি সফল পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের প্রাক্কালে ট্রেনিংয়ে পাঠায়। এরপরই দেখা যায় বিপত্তি। ৩১ জানুয়ারি এলআইসি কর্তৃপক্ষ সুরজিত পাল – সূর্পনা সাধুখাঁদের জানায় – ‘তাদের নথিভুক্ত বায়োমেট্রিক ম্যাচিং করছেনা। তাই তাদের নিয়োগে নেওয়া হবেনা” । যেখানে সমস্ত কিছু আইনমাফিক ভাবে করে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হলো, সেখানে কিভাবে নিয়োগে অযোগ্য বলা যায় সংশ্লিষ্ট চাকরি প্রার্থীদের? এই প্রশ্ন কে সামনে রেখেই গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের এজলাসে এই মামলার ভার্চুয়াল শুনানি চলে। সেখানে এলআইসির আইনজীবী অনলাইন শুনানিতে জানিয়েছেন – ” সহকারী নিয়োগে একমাত্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিই চুড়ান্ত “। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারপতি এলআইসি কর্তৃপক্ষ কে জানান – ‘বাতিল হওয়া চাকরি প্রার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয় ‘ অর্থাৎ এলআইসি কে এইসব চাকরিপ্রার্থীদের উপর মানবিক হওয়ার নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট।