জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
অস্বীকার করার উপায় নাই সমবায় সমিতিগুলির হাত ধরে রাজ্যের গ্রামীণ অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং এখনো হয়ে চলেছে। সমিতিগুলির ভূমিকা উপলব্ধি করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় তাদের বিস্তারের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই সমবায় সমিতিগুলির অন্যতম হলো পশ্চিম মঙ্গলকোটের চানক ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচারাল ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড। শুধুমাত্র কৃষি নয় কয়েক বছর আগে এলাকার মানুষের স্বার্থে এবং দি বর্ধমান সেণ্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের সহযোগিতায় এই সমিতি ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করে। এই পরিষেবা আরও বেশি করে এলাকার মানুষের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২৪ শে আগষ্ট এই সমিতির চানক শাখায় চালু হলো গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র।
একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই পরিষেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন দি বি.সি.সি.বি.এল এর মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমবায় দপ্তরের অ্যাডিশনাল রেজিস্টার অসীম চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক ব্যোমকেশ রায়, বিমলকৃষ্ণ মজুমদার (এ.আর.সি.এস, পূর্ব বর্ধমান রেঞ্জ-II কাটোয়া), মিঠুন ঘোষ (ওসি, মঙ্গলকোট) এবং বি.সি.সি.বি.এল এর কয়েকজন আধিকারিক সহ সমিতির পরিচালন সমিতির সদস্য, সকল কর্মী ও অনেক সদস্য ও গ্রাহক। প্রত্যেক বক্তা এই সমিতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের বক্তব্য পরিচালন সমিতির সদস্য ও কর্মীদের মিলিত প্রচেষ্টার জন্যই এই সমিতি আজ সারা পশ্চিমবঙ্গে উল্লেখযোগ্য স্হান দখল করেছে।
অনুষ্ঠানে সালন্দা লক্ষীপূজা মিউজিক্যাল ট্রুপের সদস্যরা নৃত্য ও গীত পরিবেশন করেন। চৌধুরী ফিরোজ আহমেদ, অদিতি, সুহিতা, সংযুক্তা, সংলাপ, সংলাপ, স্নেহা, মেমদের নৃত্য ও গীত উপস্থিত অতিথি ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়।
প্রসঙ্গত বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী নরেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জ্জী ও তাঁর সহযোগীদের উদ্যোগে সরুলিয়ার প্রধান শাখাকে কেন্দ্র করে ১৯৫৭ সালে এই সমিতি তার যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে প্রধান শাখা সহ এই সমিতির চারটি শাখায় মোট ১২ জন কর্মী আছে। এই সমিতি কৃষির প্রয়োজনীয় সার, বীজ যেমন তার গ্রাহকদের সরবরাহ করে তেমনি রেশন ডিলারদের রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেয়। বর্তমানে এই সমিতির শেয়ার হোল্ডার সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার এবং ব্যাংকিং গ্রাহক প্রায় সাত হাজার।
সমিতির বর্তমান ম্যানেজার সনাতন চ্যাটার্জ্জী বললেন – আমাদের মূল লক্ষ্য হলো আগামী দিনে সমিতির পরিষেবা এলাকার প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া।