খায়রুল আনাম,
এবার বোরো চাষের জন্য মাইথন জলাধার থেকে ডিভিসি ২৬ জানুয়ারি জলছাড়া শুরু করলো। অতীতের চেয়ে এবার জল ছাড়ার পরিমাণ করায়, অনেক জমি অনাবাদি রয়ে যাবে বলেই বলা হচ্ছে। প্রান্তিক সীমা পর্যন্ত ক্যানেলের মাধ্যমে এই জল পৌঁছাতে দুই থেকে তিনদিন সময় লেগে যাবে বলে স্বীকার করছে কৃষি ও সেচ দপ্তর। এবার ডিভিসি-র এই জলে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া এবং হাওড়া জেলার ৬৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বেরোচাষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। এবার জল ছাড়া হয়েছে ২ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪০ একর ফুট। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩৭ হাজার একর জমিতে বোরোচাষে সেচের জল দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে জল ব্যবহার ও বণ্টনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে যে, জলাধারের নাব্যতা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, জলাধারের জলধারণ ক্ষমতাও কমে গিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতেই কম জল ছাড়া হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সেচ দপ্তর ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার পরে, এই বিষয়টি নিয়ে ডিভিসি ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বৈঠক হলেও জলাধারের পরিস্থিতি বদলের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। যার ফলশ্রুতিতে অনিবার্যভাবেই মার খাচ্ছে উৎপাদন।