চিত্তরঞ্জন শহরের একটি দোকানে চুরির প্রথম চেষ্টা বিফল হলেও পুনরায় একই দোকানের এডভেস্টর ভেঙে লক্ষাধিক টাকার জিনিশ চুরি
নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন চিত্তরঞ্জন পুলিশ প্রশাসনের উপর
কাজল মিত্র : – চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বুকে চুরি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে ।নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে চিত্তরঞ্জন পুলিশ ও আরপিএফ এর প্রশাসনের উপর।
কিছুদিন পূর্বে চিত্তরঞ্জন সরে
অবস্থিত কস্তুরবাগন্ধি হাসপাতালের কাছে একটি মুদি দোকান চুরির চেষ্টা করে সামান্য কিছু চুরি করতে পারলেও পুনরায় আবার ওই একই দোকানে চোরের দল শুক্রবার রাতে দোকানের এডভেস্টর এর ছাদ ভেঙে প্রায় লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী নিয়ে পালায়। শনিবার সকালে দোকান এর মালিক দোকান খুলে দেখেন দোকান এর জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং এডভেস্টর এর ছাদ ভাঙ্গা দেখে দোকানের মালিক অবাক হয়ে যান । মুদির দোকানের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস গায়ে মাখার তেল,ফেস ওয়াশ, সাবান, ক্রিম,
হ্যান্ডওয়াস,ডিটারজেন্ট, সহ বহু সামগ্রী চোরেরা নিয়ে পালায় ।তাছাড়া দোকানের ক্যাশ কাউন্টার এর মধ্যে থাকা কিছু নগদ ও নিয়ে যায় ।
চুরি যাওয়া দোকান এর মালিক চিত্তরঞ্জন শহরের পেপার এর এজেন্ট মুকেশ যাদব এর স্ত্রীর নামে রয়েছে।তারা জানান এর আগেও এই শহরে বহুবার চুরির ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কোন ঘটনায় এখনো সুরাহা হয়নি। কয়েক দিন আগেও এই দোকানে চুরি করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সেরকম ভাবে সফল হয়নি কিন্তু পুনরায় আবার গতকাল রাতে আবার চোরের দল চুরি করে পালায় বলে অনুমান করেন ।দোকানের মালিক চিত্তরঞ্জন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন পুলিশ এবং আরপিএফ এসে তদন্ত শুরু করেছে ।
তবে এবিষয়ে স্থানীয় ব্যাবসায়িক ও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত রয়েছে। তারা জানান স্থানীয় রেল পুলিশ ও আরপিএফ এর সুরক্ষা বাহিনী থাকলেও বারংবার এই শহরে চুরির ঘটনা ঘটছে তাছাড়া ছিনতাই, কিডনাপানিং, খুন সহ বহু অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটে চলেছে এই শহরের বুকে ।কিন্তু চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ও পুলিশ কেবল দর্শক হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ ।তাদের কোন ভূমিকায় নেই।প্রশ্ন উঠেছে চিত্তরঞ্জন শহরের নিরাপত্তার উপর।