ভাতারের বিজিপুর গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চুরি হয়ে যায় চার ভরি সোনা ও ৬০ হাজার টাকা, ভাতার থানার পুলিশের তৎপরতায় ৬ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার চুরি যাওয়া সমস্ত মাল ও আটক চার ব্যক্তি।
ভাতারের বিজিপুর গ্রামের বাসিন্দা নিতাই দাস তিনি একজন এ,এস,আই পদে নিযুক্ত রয়েছেন গুসকারা বিট হাউস থানায়।
ওনার স্ত্রী একজন স্বাস্থ্য কর্মী।
বাড়িতে কেউ ছিলনা গতকাল।
সন্ধ্যা পাঁচটার পর যখন নিতাই দাসের স্ত্রী পার্বতী দাস বাড়ি ফিরেন তখন দেখতে পান যে পিছনের দিকের দরজার তালা ভাঙ্গা ও ঘরের ভিতর থাকা আলমারি লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে কে বা কারা।
উনি তড়িঘড়ি উনার স্বামী নিতাই দাস কে বিষয়টি বলেন।
নিতাই দাস তৎপর ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক প্রসেনজিৎ দত্তকে বিষয়টি জানান।
পুলিশ তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে।
বিভিন্ন সিসিটিভি পরীক্ষা করে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নদীয়ার কালিয়াগঞ্জ এলাকা থেকে চুরি যাওয়া সমস্ত মাল ও চার ব্যক্তিকে আটক করে ।
ঘটনা ঘটার ৬ ঘন্টার মধ্যেই এত বড় সফলতা অর্জন করে ভাতার থানার পুলিশ।
চুরি যাওয়ার ক ঘন্টার মধ্যেই সমস্ত মাল-পত্র ও টাকা উদ্ধার হওয়ায় খুশি নিতাই দাস ও পার্বতী দাস।
এলাকার মানুষ সকলেই প্রশংসা করেছেন ভাতার থানার পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে উনাদের ঘরের চুরির ঘটনা উনারা খুব তাড়াতাড়ি জানিয়ে ছিলেন, তাই এত বড় সফলতা পাওয়া গেল।
উল্লেখ্য যে কয়েক মাস আগে ভাতারের ওরগ্রামে পরপর তিনটি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সমস্ত মালপত্র উদ্ধার করেছিল ভাতার থানার পুলিশ। পাশাপাশি ভাতারের বেলেন্ডা গ্রামে চুরি হয়েছিল একটি মন্দির থেকে রূপোর সিংহাসন ।সেটাও পুলিশ উদ্ধার করে এবং এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
ভাতার থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।