খায়রুল আনাম,
সময়ের আশ্চর্য সমাপতনে এখনও কেউ কেউ সিপিএমকে নিয়ে আলোচনা করছেন। সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের কয়েকটি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনে সিপিএম ভালো ফল করবে বলে আশা করলেও, তাদের প্রত্যাশা যে এভাবে তলানিতে এসে ঠেকবে, তা তারা আশাও করেনি। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবন যে ভাবে আলোড়িত হয়েছে, তার ফায়দা সিপিএম তুলতে পারবে বলে এই উপ নির্বাচনে আশা করেছিলো। কিন্তু সেই আশা তাদের তো পূরণ হয়ই নি, উপরন্তু আরও নিম্নগামী হয়ে শতাংশের এমন নীচে নেমে গিয়েছে, যার হিসেব হয়তো জীবিত থাকলে কে সি নাগও করতে পারতেন না। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম দলকে পরিচালনা করার পরিবর্তে নিজে জেতার আকাঙ্খায় কংগ্রেসের হাত ধরে নিজে ডুবলেও, সফলতার সঙ্গে কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ডোবাতে পারার সফলতা দেখাতে পেরেছেন। যা তারা তাদের বাম জামানাতে পারেননি। এজন্য মহম্মদ সেলিম অবশ্যই হেরো দলের কাছে নিজের মুখটা উজ্জ্বল করতে পেরেছেন। সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে এটা লক্ষ্য করা গিয়েছে যে, শহুরে জেল্লা দেওয়া চেহারার যে সব নেতারা নিরাপত্তার মধ্যে থেকে মানুষকে লড়াইয়ের ময়দান না ছাড়ার কথা ফেরি করে এসে, বোকাবাক্সে শতরূপে গর্জিয়েছেন, তাদের গর্জনে সাড়া দেয়নি মানুষ। যে বামপন্থীদের চামড়ার জেল্লা বাড়ে অথচ শরীরে সেলাইয়ের দাগ নেই, পিঠের চামড়ায় কালশিটে দাগ নেই, তাদের গায়ে-গতরে খেটে খাওয়া মানুষেরা যে আর বিশ্বাস করেনি, এটা অন্তত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।