জমে উঠেছিলো মনীষা ও মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টারের যৌথ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাট্যমেলা
ইন্দ্রজিৎ আইচ
…………………………………………
মনীষা ও মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে হয়ে গেল নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম জয়ন্তী পালনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, অনুষ্ঠান ও নাট্যমেলা। ২৩ জানুয়ারি নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৯তম জন্মদিবসে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। নেতাজী মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর অনুষ্ঠিত হয় আলপনা প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন আর্ট স্কুল থেকে প্রায় ৫০জন চিত্রশিল্পী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর ২৫ জানুয়ারি সকাল থেকে ছিল অঙ্কন ও নৃত্য প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন বিভাগে ৩০০-র বেশি প্রতিযোগীরা নানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানের প্রথমেই ছিল মনীষা সাংস্কৃতিক সংস্থার সমবেত সঙ্গীত তারপর ছিল নৃত্যালোক-এর ছোট্ট বন্ধুদের নৃত্যানুষ্ঠান। এরপর “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর” বিষয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন অংশুমান রায়। এরপর মঞ্চস্থ হয় পরপর তিনটি নাটক। প্রথম নাটক মনীষা সাংস্কৃতিক সংস্থার ছোটদের অভিনীতি শিবানী হালদার নির্দেশিত “অবাক জলপান”। দ্বিতীয় নাটক কৃষ্ণনগর চেনা আধুলি নাট্য দলের রজত দাস নির্দেশিত “জমলো মকদম”। এদিনের সর্বশেষ নাটক ছিল গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম এর জীবন অধিকারী নির্দেশিত শিশু-কিশোর বিভাগের নাটক “অস্তিত্ব”। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে রোড রেসের মাধ্যমে শুরু হয় এদিনের কর্মসূচি। নানা বয়সের শতাধিক ছেলেমেয়েরা ৫কিলোমিটার রেসে অংশগ্রহণ করে। এদিনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিল আবৃত্তি, সংগীত ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানের প্রথমেই ছিল নানান সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। উপস্থিত ছিলেন নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হয় সৃজা হাওলাদার নির্দেশিত নৃত্যনীড় এর নৃত্যানুষ্ঠান। মনীষা সাংস্কৃতিক সংস্থার সংগীত ও নৃত্যের অনুষ্ঠান। তারপর মঞ্চস্থ হয় মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টারের শিশু-কিশোর বিভাগের এবছরের নতুন প্রযোজনা “দাও ফিরে সে অরণ্য”। জয়ন্ত সাহা-র নির্দেশনায় ৩৫জন নানা বয়সের শিশু-কিশোরদের এই মূকাভিনয় দর্শক সাধারণের মন জয় করে। এদিনের সর্বশেষ অনুষ্ঠান ছিল মনীষার নাটক “অরুণোদয়ের পথে”। সমগ্র অনুষ্ঠানে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা ও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। উৎসবে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিশেষ সহযোগিতা করেছেন ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক। ইমন মাইম সেন্টারের পরিচালক ধীরাজ হাওলাদার বলেন,”প্রতিবছর এত মানুষের সহযোগিতা এবং বিশেষ করে ছোটদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের প্রেরণা দেয়”। মনীষার সভাপতি দেবব্রত বিশ্বাস সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এলাকার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল বজায় রাখতে এই এই আয়োজন বিশেষ ভূমিকা পালন করে”।