খায়রুল আনাম সম্পাদক সাপ্তাহিক বীরভূমের কথা,
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অনুমোদন
শয্যা সংখ্যা বাড়ায় রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান হিসেবে বীরভূমের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শয্যা সংখ্যা বাড়াবার অনুমোদন দিলো জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ছাড়া রাজ্যের মধ্যে কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিসিইউ-এর শয্যা সংখ্যা বাড়াবার অনুমোদন আগেই পাওয়া গিয়েছে। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রোগীরাও চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে প্রথমে ১২০ শয্যার কোভিড বিভাগ চালু করা হয়েছিলো। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই এখানকার কোভিড ওয়ার্ডের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২৬০-এর বেশি করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ভবন। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরই এখানকার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ এবং মেডিসিন বিভাগের শয্যা সংখ্যা কমিয়ে কোভিড বিভাগের জন্য ২১০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়। এবার রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আরও ২৫টি শয্যা বাড়াবার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন তাদের নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে যে, প্রতিটি শয্যায় অক্সিজেন-সহ বাইপ্যাপ এবং ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৬২৬ শয্যার রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোভিড বিভাগের জন্য ২৬০ টি শয্যা রাখা যথেষ্টই মুশকিল বলেই মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখানকার অন্যান্য বিভাগের শয্যা সংখ্যা কমিয়ে এমনিতেই বর্তমানে ২১০টি শয্যা করা হয়েছে। এখন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের নির্দেশ মেনে অতিরিক্ত ২৫ টি শয্যার ব্যবস্থা কীভাবে এবং কোথায় করা হবে, সেটাই এখন ভাবিয়ে তুলেছে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। সেইসাথে আরও সমস্যা রয়েছে এখানার কর্মী সংখ্যা নিয়েও। এখানকার সাধারণ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বর্তমানে ৮ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৭ জন রয়েছেন। তাঁরা সাধারণ সিসিইউ-এর পাশাপাশি কোভিড সিসিইউ-এ থাকা রোগীদেরও চিকিৎসা করছেন। এবার আরও ২৫ টি শয্যা বাড়ায় সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা কী ভাবে দেওয়া সম্ভব, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ।।