মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু, ৮ জুন,
এবার এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দরবারে বিচারপ্রার্থী মিঠুন চক্রবর্তী। গত সোমবার দুই আইনজীবী বিকাশ সিং এবং পার্থ ঘোষের মাধ্যমে এই পিটিশন টি দাখিল করেছেন মেগাস্টার অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। জানা গেছে, এই মামলার শুনানি রয়েছে চলতি সপ্তাহে। তবে আগামী শুক্রবার দুপুরে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে প্রকাশ। মিঠুন চক্রবর্তীর দুই আইনজীবী বিকাশ সিং এবং পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন – ‘ মিঠুন চক্রবর্তী একজন পাবলিক ফিগার। জনতার মনোরঞ্জনে সিনেমার ব্যবহৃত বিভিন্ন ডায়ালগ বলতে হয়।২০১৪ সালে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও বলেছিলেন ওই ডায়ালগ গুলি।এতে কোন প্ররোচনা কিংবা উস্কানিমূলক মন্তব্য হিসাবে গণ্য হয়না’। সম্প্রতি বিধানসভার নির্বাচনে আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে একদা তৃণমূল ছেড়ে আসেন বিজেপিতে।২৫ মার্চ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত গেরুয়া প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি।সেখানে কখনো ‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে ‘ কিংবা ‘ আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই।আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি’ ডায়ালগ গুলি বলেছিলেন। একুশে বিধানসভা ভোটে ফলাফল প্রকাশের পর ৬ মে মানিকতলা থানায় এক তৃনমূল কর্মী ১৫৩ এ, ৫০৪ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা দাখিল করেন। সম্প্রতি কলকাতার শিয়ালদহ কোর্টের এসিজেম এজলাসে উঠে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর এক উস্কানির অভিযোগ বিষয়ক মামলা। ইতিমধ্যেই ভারপ্রাপ্ত বিচারক কলকাতা পুলিশের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন।এই মামলার শুনানি ছিল গত ১ জুন।মানিকতলা থানা এলাকায় একুশে বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে এসে বিজেপির পক্ষে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী সেই ‘এমএলএ ফাটাকেস্ট’ ছবির ডাইলগ ” মারবো এখানে লাশ পরবে শ্মশানে ‘ আবার কখনও জাত গোখরা সাপের ডাইলগ চলেছিল।এই বিষয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্যর জন্য মানিকতলা থানায় মামলা দাখিল হয়।আর সেই মামলাতেই এই রিপোর্ট তলব করেছিল শিয়ালদহ কোর্ট। মালদার জেলাশাসকও নির্বাচনী প্রচারে কোভিড বিধি না মানার মামলা করেছিলেন। গত ৭ ই মার্চ থেকে ব্রিগেডের মোদীর জনসভায় মিঠুন চক্রবর্তী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান।এরপর গোটা বাংলা জুড়ে বিজেপির পক্ষে মহাগুরু প্রচার কর্মসূচি পালনে ছিলেন। এমনকি একুশে বিধানসভা ভোটে ফলাফল প্রকাশের আগের দিন রাজভবনে রাজ্যপাল কে দেখা করতে যান তিনি।এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এফআইআর খারিজ সহ আইনী রক্ষাকবচ চাওয়ার আবেদন রয়েছে। আগামী শুক্রবার দুপুরে এই মামলার শুনানি হতে পারে।