সেখ সামসুদ্দিন,
আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর আগে এই বিদ্যালয় সংলগ্ন এগারটি গ্রামের মানুষজন স্বপ্ন দেখেছিলেন যে এই এলাকাতে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন হওয়া দরকার। সেই সমস্ত মানুষদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন মরহুম মীর গহর আলী, মরহুম জয়নাল আবেদীন ও মরহুম ডাঃ জামালউদ্দিন মল্লিক, যাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় এবং এলাকাবাসীর কাছে নমস্য। আজ উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার, মৌলি সান্যাল, পেডাগোজি কো-অর্ডিনেটর তাহের আলী, অপর কো অর্ডিনেটর, মিসকিন আলি, জামালপুর লায়ন্স ক্লাব ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রদীপ রায়, শুধু সুন্দরবন চর্চা পত্রিকার সম্পাদক জ্যোতিরিন্দ্র নারায়ণ লাহিড়ী, ব্যাঙ্ক অব্ ইন্ডিয়া, কালেড়া শাখার ম্যানেজার সুজিত কুমার ওঝা এবং সহকারী ম্যানেজার শাহাজাহান সাহেব সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ এবং পরিচালন সমিতির সভ্যবৃন্দ। কোভিড- ১৯ পরিস্থিতির জন্য যারা আজ অনুপস্থিত, তারা হচ্ছে এই বিদ্যালয়ের হৃদস্পন্দন ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু সেই শূন্যতা খানিকটা হলেও পূরণ হয়েছে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের মাধ্যমে। যাদের মধ্যে আছেন সেই ৫০ বছর আগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছাত্রী, তেমনি সদ্য প্রাক্তন এমনও। বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী এবং শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে থেকে অনেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সুর্বণ জয়ন্তীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্ৰহণ করেছেন। সুবর্ণ জয়ন্তী পূর্তি উপলক্ষ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড ভেন্ডিং মেশিন, কমিউনিটি ওয়াটার প্রজেক্ট, তিনটি ব্ল্যাকবোর্ড লাইট, স্বামীজির প্রতিকৃতি উদ্বোধন করা হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক মঞ্চের। এটি দান করেছেন সমাজসেবী সজল কুমার কোলে। বিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ দ্বারটির নবরূপায়ণ করেছেন ঈদ মহম্মদ ও অংশুমান দাস মহাশয়। এছাড়াও আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয় ‘সোনার বাংলা’, জামালপুরের তরফে।