জীবনের শেষ ঠিকানায় ‘সাধারণ মানুষ’ হতে চান প্রধান বিচারপতি!
মোল্লা জসিমউদ্দিন,
‘জীবন যেমন আছে, আছে তার মরণও’। একদিন এই পথের পথিক হতে হবে প্রত্যেকেই।এই চরম বাস্তব অনুধাবন করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নিজেকে বিচারপতি না ভেবে শুধু একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে ব্যক্ত করলেন! উক্ত মামলার পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন – ‘ মৃত মানুষদের জন্য নুন্যতম সম্মান প্রয়োজন’। সরকারি উদাসীনতার বিরুদ্ধে গর্জেও উঠলেন প্রধান বিচারপতি এদিন। কি এমন মামলা, যেখানে প্রধান বিচারপতি সাধারণ মানুষ হিসাবে পাশে দাঁড়াতে চান? সেইসাথে মৃত ব্যক্তিদের ‘শেষ শ্রদ্ধা’ যাতে সম্মানের সাথে হয়, তার ব্যবস্থাগ্রহণে তৎপরতা দেখান? আদালত সুত্রে প্রকাশ, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার দক্ষিণ হাটগাছিয়া এলাকায় রাস্তার ধারে মৃত ব্যক্তিদের দাহ পর্ব চলছে।এহেন অমানবিক ঘটনায় লক্ষ্মীকান্ত লগর নামে এক এলাকাবাসী কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করে স্থায়ী শ্মশান ঘাট চান।এই মামলার আজ শুনানি চলে। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসকের তরফে জানানো হয় – ‘ ওই এলাকায় শ্মশান নির্মাণের জন্য দেড় কোটি টাকার অনুদান প্রয়োজন। এখন বিধানসভার নির্বাচনে ব্যস্ততা তুঙ্গে। তাও আরও সময় দরকার ‘। এহেন তথ্য আসার পরেই প্রধান বিচারপতি এদিনকার সওয়াল-জবাবে জানান – ‘নির্বাচন জীবিত মানুষদের জন্য। মৃত মানুষদের জন্য নুন্যতম সম্মান কি প্রয়োজন নেই? ‘ পাশাপাশি সরকারি অফিসারদের ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখিত ‘জনগনের জন্য সরকার’এর তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দেন।পাশাপাশি শ্মশানঘাট নির্মাণের জন্য জনগণের কাছে সাধারণ মানুষ হিসাবে অর্থ সংগ্রহ করার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। আগামী শুক্রবার এর মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওইদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।