জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে চাইনা
দীপান্বিতা পাত্র (কলকাতা)
শৈশব এ খেলনার পরিবর্তে
সঙ্গী ছিল ইন্জেকশন
কর্কট রোগ এর নিদারুণ ক্লান্তি
তবু জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে চাইনি।
কৈশোরে পরিবেশ, সমাজ বিমুখ
সঙ্গী ছিল আত্মগ্লানি
মন চাইত সবার মত হতে
কিন্তু ওই যে ট্যাগ বিশেষ ভাবে সক্ষ্মম
তবু জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে চাইনি।
যৌবন বড় বালাই নানা প্রশ্নের ভিড়, অনাবশ্যক কৌতুহল!
কেউ কখনোই চায়নি
আমাকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে
বন্ধু, প্রেমিক, স্বামী হিসাবে!
তাও শুনতে হয়েছে আমার খুব
অহমিকা,
আমি সবসময় সবাই কে ফর গ্ৰান্টেড নিয়েছি,
সবাই কিছু বলার (ভালোবাসার কথা) আগেই
আমি নিজেকে সেখান থেকে সরিয়ে নিই, আর আমার সাথে এ্যডজাস্ট করা যায় না কারণ আমি নাকি অসভ্য, খোলামেলা
স্বাধীনচেতা খামোখা নারীবাদী,
তবু জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে চাইনি।
প্রাপ্তবয়সে আমার ঝুলি শূন্য
কারণ নিজেকে সঠিক ভাবে
প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি সামান্য
পড়াশোনার কারণে
তবু জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে চাইনি
বেশ কয়েকটা ০.৫ মাত্রার ঘুম এর
ওষুধের পাতা সব সময় আমার কাছে
থাকেই
খেতেই পারি সবকটা,
তবু জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে চাইনি
কারণ কেন জানো !
পৃথিবীতে একজন অন্তত আছে যে আমাকে হেরে যেতে দেবে না
সে আমার মা।
এছাড়াও যারা লড়াইয়ে আমি আজ ‘আমি’তে দাঁড়িয়ে
সেই দিদি,
তার লড়াই ব্যর্থ হোক
চাইনি তাই জীবন যুদ্ধে হেরে যেতে।।
আর হেরে তারাই যায় যারা লড়াই না করে মাঠ ছাড়ে,
তাই শেষ শ্বাস পর্যন্ত থাকবে এ
দুর্বিষহ জীবন যুদ্ধ
তবু হেরে যেতে চাইনা এ জীবন যুদ্ধে।
কারণ
‘জিন্দেগী না মিলেগি দোবারা’