জৈব পদ্ধতিতে চাষ আবাদের লক্ষ্যে, চাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ শিবির,খয়রাসোলে

Spread the love

জৈব পদ্ধতিতে চাষ আবাদের লক্ষ্যে, চাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ শিবির,খয়রাসোলে

সেখ রিয়াজুদ্দিন,বীরভূম:- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগের উদ্যোগে এবং খয়রাশোল ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা করনের ব্যবস্থাপনায় পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা প্রকল্পের আওতায় চাষীদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় শনিবার, স্থানীয় ব্লক এলাকার বরঘাটা গ্রামে। শিবিরে খয়রাশোল ও রুপুষপুর পঞ্চায়েত এলাকার পানশিউড়ী, খয়রাশোল, সারসা, রুপুষপুর, ছোড়া, নিচিন্তা সহ মোট ১৮ টি মৌজার কৃষকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষক হিসেবে কৃষি দপ্তরের আধিকারিকেরা এদিন জৈব পদ্ধতিতে চাষ আবাদ সম্পর্কিত বিভিন্ন দিকগুলো তুলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন।জৈব সারে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়,জল ধারনক্ষমতা বাড়ে,ফসলের উৎপাদন বাড়ে,ফসলে রোগ পোকার উপদ্রব কমে, জৈব সার প্রয়োগে মাটি জীবন্ত হয়ে ওঠে।তাছাড়াও জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে বন্ধু পোকামাকড় মারা যায়।চাষীর বন্ধু বলে পরিচিত কেঁচো সেটাও আজ জমি থেকে বিলুপ্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহারে, সাথে সাথে মাটি ও তার বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলছে।
বক্তব্যের পাশাপাশি জাগৃতি লোক নাট্যগোষ্ঠীর তরফে
জৈব সারের উপকারিতা বিষয়ক কথাগুলো পথনাটিকার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি বিভাগ ও খয়রাসোল সহ কৃষি অধিকর্তা করনের এরূপ উদ্যোগ এবং ভাবনায় চাষীরা উৎসাহ বোধ করেন।এদিন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর পল্লী শিক্ষা ভবনের অধ্যাপক ডঃ হীরক চ্যাটার্জী, বীরভূম জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা শিবনাথ ঘোষ,সহ কৃষি অধিকর্তা তথ্য রঙ্গন ব্যানার্জী ,সহ কৃষি অধিকর্তা বিষয়বস্তু,ডঃ নিশীথ কুমার মন্ডল, খয়রাসোল ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সুরজিৎ গড়াঁই প্রমুখ।উল্লেখ্য ১৮ টি মৌজা এলাকায় ৬০ জন চাষীদের নিয়ে একটি করে ক্লাস্টার গঠিত হবে। এরূপ ৫০ টি ক্লাস্টারের মধ্যে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার চাষী জড়িত থাকবে। দুটি পঞ্চায়েত এলাকায় এক হাজার হেক্টর জমিতে জৈব পদ্ধতিতে চাষ আবাদের জন্য পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা প্রকল্পের আওতায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *