শ্যামল রায়,
কাটোয়া শহরের সব থেকে বড় রথ মন্ডল হাট মদনমোহন আশ্রম থেকে পানুহাট গেল। জানা গিয়েছে নয় লক্ষ টাকা ব্যয়ে চারটি রথ তৈরি করা হয়েছিল। করণা পরিস্থিতিতে বড় জমায়েত বা একসাথে মানুষের উপস্থিতি নিষিদ্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার ছিল রথ উৎসব। জানা গিয়েছে প্রতিবছর কাটোয়ার মন্ডল হাট মদনমোহন আশ্রম থেকে রথে চেপে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরাম পানুহাট এর ইদারা পাড়া মাসির বাড়ি যান। এ বছর পূর্ণ হল না পুরনো ঐতিহ্য। তবে বেশ কিছুদিন ধরে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি যাবে কিনা সংশয় ছিল কিন্তু এদিন অনাড়ম্বরভাবে মাসির বাড়ি গেল শুধুমাত্র রথটি।
জানা গিয়েছে যে কাটোয়া শহরে মোট সাতটি রথ হয়ে থাকে। কাটোয়া শহরের মাদারতলা কাটোয়া শহরের সার্কাস ময়দান ইসকন পরিচালিত ও ফেরিঘাট পাড়ায় বড় ধরনের হয়ে থাকতো। এবছর বন্ধ থাকায় মানুষের মধ্যে কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়নি।
শুধুমাত্র মন্ডল হাটের জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি যাওয়া নিয়ে একটি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শুধুমাত্র নিয়মটা মানা হয়েছে কোনরকম সুসজ্জিত মাসির বাড়ি নেয়া হয়নি বলে জানা গেল।
ব্যাপক পুলিশি পাহারায় মাসির বাড়িতে যায়। এই রথের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোনরকম ভিড় ছিল না রথের উপরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরাম কে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়।
আশ্রমের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে মন্ডল হাট থেকে পানুহাট আসতে প্রচুর মানুষের ভিড় হত প্রতি বছর এ বছর শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষা করা হয়েছে জানালেন আক্রম কর্তৃপক্ষের অন্যতম কর্ণধার মঞ্জুরি গোস্বামী। তাই মন খারাপ সকলের অনাড়ম্বরভাবেই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি এল কাটোয়ার প্রখ্যাত রথ।