মোল্লা জসিমউদ্দিন টিপু,
আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই গত ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র যাচাইয়ের রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কে । গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে এই মামলার শুনানিতে এহেন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। গত ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৬ টি ভূল প্রশ্ন ছিল, যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা রুজু হয়েছে। সেখানে বিচারপতি ওই ৬ টি ভূল প্রশ্নের ৬ নাম্বার অতিরিক্ত হিসাবে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছিলেন । তবে কতজন ওই নাম্বার পেয়ে চুড়ান্ত সফল তালিকায় ঢুকেছেন, তা অস্পষ্ট। তাই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কে আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষারর উত্তরপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য গতবছর ২৩ ডিসেম্বর নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সাড়ে ১৬ হাজার শুন্যপদ পূরণের জন্য ১০ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি ইন্টারভিউ এবং ৩১ জানুয়ারি টেটের তৃতীয় পরীক্ষার সময়সূচি জানিয়েছিলেন। যার বিজ্ঞপ্তি গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক বোর্ড ঘোষণা করে থাকে। এই বিজ্ঞপ্তি কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে মামলা দাখিল করেছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামীম। পিটিশনে তিনি উল্লেখ্য রেখেছিলেন যে, – ‘ ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের থেকে নিয়োগ হওয়ার কথা।ওই বছরের টেটের প্রশ্নমালায় ৬ টি ভূল প্রশ্ন ছিল, তা আদালতে বিবেচনাধীন রয়েছে। ওই ৬ টি ভূল প্রশ্নের নাম্বার অনেকেই পাননি।তাই লিখিত পরীক্ষায় অনেকেই পাশ করতে পারেননি।সেটা সংশোধন না করে কি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে’? এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট ওই ৬ টি ভূল প্রশ্নের জন্য অতিরিক্ত ৬ নাম্বার যুক্ত করার নির্দেশ দেয়। তাতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে চুড়ান্ত তালিকায় কারা ওই অতিরিক্ত ৬ নাম্বার পেয়ে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।তা অস্পষ্ট আদালতের কাছে।তাই গত সোমবার বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চারটি পর্যায়ক্রমে শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদ কে রিপোর্ট তলব করেন।গত ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা আগামী মার্চ মাসের মধ্যে জমা দিতে হবে।