ডিহাইড্রেশন রুখতে ক্ষুদে পড়ুয়াদের মধ্যে চালু হল ‘ওয়াটার বেল’ কর্মসূচি, রাজনগরে
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- সকাল থেকে গুমোট আবহাওয়া।সেইসাথে প্রতিদিন প্রখর রৌদ্রের মধ্যে বাড়ছে তাপপ্রবাহ।এনিয়ে সরকারি ভাবে সতর্কতা জারি হয়েছে। মানুষের জীবন নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে। নাজেহাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে যাতে কোনো রকম শারীরিক সমস্যার মধ্যে না পড়ে, সেই লক্ষ্যেই বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চিন্তা ভাবনা থেকে শুরু হয় ওয়াটার বেল কর্মসূচি।
প্রচন্ড গরমে শরীরের জলের কোনরকম ঘাটতি হলেই ডিহাইড্রেশন দেখা যায়।আমাদের শরীরের ৬০ শতাংশই জলীয় পদার্থ। শরীরে জলের অভাব হলেই বিপাকীয় প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে। প্রচন্ড গরমে শরীর থেকে ঘাম নির্গত হওয়ার ফলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে আসে। পাশাপাশি মল-মূত্র ত্যাগ করার সময়ও শরীরের মধ্যে জলের পরিমাণ কমে যায়। শরীরে এই জলের ঘাটতি সময় মতো পূরণ না হলেই দেখা যায় ডিহাইড্রেশন । আর প্রচন্ড গরমে ডিহাইড্রেশন রুখতে ঘন ঘন জলপানের প্রয়োজন হয়। সেই লক্ষ্যে স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়ারা যাতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল পান করার সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্যেই বীরভূমের রাজনগর ব্লকের খাসবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদরত আলী খানের উদ্যোগে ওয়াটার বেল কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ বলে জানা যায়। নিয়ম শৃঙ্খলা হিসেবে বলা হয়েছে যে,
বিদ্যালয় চলাকালীন প্রতি একঘন্টা অন্তর ওয়াটার বেল বাজবে। ঠিক তখনই প্রতিটি শ্রেণীকক্ষের বাচ্চারা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে জলপান করবে।
উদ্দেশ্য – এই গ্রীষ্মে বাচ্চাদের শরীরে যেন কোনোরকম জলের ঘাটতি না দেখা দেয়। এই সুঅভ্যাসের ফলে বিদ্যালয়ের সাথে সাথে বাড়িতেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর তারা জলপান করবে সে কথাই জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদরত আলী খান।
তিনি আরও জানান এটা ভিন রাজ্যের বিদ্যালয়ে এরূপ ওয়াটার বেল চালু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে সেটা দেখে এবং অনুপ্রাণিত হয়ে বিদ্যালয়ের মধ্যে কর্মসূচি গ্রহণের কথা মাথায় আসে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরাও এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেন যার প্রেক্ষিতে কাজটি করতে কোনো অসুবিধা হয়নি।উল্লেখ্য,
জেলার মধ্যে সম্ভবত এটাই প্রথম ওয়াটার বেল কর্মসূচি চালু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।