তফশিল জাতি আদিবাসী সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের কর্মযজ্ঞকে বাহবা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের
পারিজাত মোল্লা,
মঙ্গলবার সকালে কলকাতার উপনগরী রাজারহাট নিউটাউন বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত তফশিল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড : রামনাথ কোবিন্দ, ন্যাশনাল এডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক পি বি শর্মা, আমিতি বিশ্ববিদ্যালয় গুরেগাঁও হরিয়ানার সহ উপাচার্য ও মেন্টর অধ্যাপক আর কে খান্ডাল, প্রাক্তন রাজ্যসভার নির্দেশক কে কে মিশ্র প্রমুখ।
সংস্থার প্রাণপুরুষ সম্পাদক সৌমেন কোলে সম্মানিত অতিথিদের স্বাগত জানান। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে এসেছিলেন একদল আদিবাসী নৃত্যশিল্পী। তাঁরা তাঁদের নিজস্ব নৃত্য সৃজন পরিবেশন করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড: রামনাথ কোবিন্দ তাঁর বক্তব্য রাখতে যখন উঠলেন দিল্লিতে তখন কেন্দ্রীয় সরকারের এক দেশ এক নির্বাচনে বিলটি পাশ হলো। এই বিলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাক্ষর করেছিলেন ড: রামনাথ কোবিন্দ।
ড: কোবিন্দ বলেন, ভারতের অর্থনীতি, সংস্কৃতির মূল চালিকাশক্তি দেশের ভূমিপুত্র আদিবাসী সমাজ। পশ্চিমবাংলার এই তফশিল আদিবাসী সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র গত ৩৫ বছর ধরে সমাজের এই অবহেলিত সমাজের অংশকে উন্নত স্তরে পৌঁছে দেওয়ার যে কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছেন সেটি প্রশংসার যোগ্য। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, দেশের কৃষ্টি সংস্কৃতি ও মানব সম্পদের অন্যতম আদিবাসী সমাজ। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিকাশে আদিবাসী, তপ শিল, প্রাক্তন সৈনিকদের ভূমিকা আমাদের গর্বিত করে।
সংস্থার সম্পাদক সৌমেন কোলে বলেন,৩৫ বছরআগে যে স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল আজ সেই কর্মযজ্ঞের মিছিলে জড় হয়েছেন প্রায় ১০ হাজার দেশপ্রেমী মানুষ। স্বনির্ভর ভারত গড়তে এই উদ্যোগের স্বীকৃতি প্রাক্তন ভয়রাষ্ট্রপতি দিয়ে গেলেন আমাদের মনোবল ও উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ এই রাজ্যে যা সফল হয়ে চলেছে, আগামীদিনে সারা দেশে আমরা সেই স্বনির্ভরতার সবুজ বিপ্লব ছড়িয়ে দেব সেই সংকল্প নিয়েছি। অনুষ্ঠানে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন সংস্থার সদস্যরাই। সংস্থার সেরা কর্মবীরদের সম্মানিত করা হয় সাফল্যের নিরিখে।