তারবিহীন ক্যাপসুল পেসমেকার স্থাপন বর্ধমানে

Spread the love

তারবিহীন ক্যাপসুল পেসমেকার স্থাপন বর্ধমানে

সেখ সামসুদ্দিন,

তার বিহীন ছোট্ট ক্যাপসুল পেসমেকার হার্টে প্রতিস্থাপন করে বর্ধমানের শরণ্যা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের মুকুটে একটা পালক উড়ল। পশ্চিম বর্ধমানের বরাকর থেকে আসা এক মহিলা ঘনঘন অজ্ঞান হয়ে যাওয়া সহ নানান উপসর্গ নিয়ে শরণ্যা হাসপাতালে আসেন। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ এবং চীফ টেকনোলজিস্ট ক্যাথল্যাব শান্তনু চক্রবর্তী সিদ্ধান্তে আসেন মহিলার একটি পেসমেকার স্থাপন করা জরুরি। মহিলার পরিবারের লোকেদের সদস্যদের অনুমতিতে বিজ্ঞানের অত্যাধুনিক আবিষ্কার তার বিহীন ক্যাপসুল পেসমেকার স্থাপন করেন চিকিৎসক। এতদিন বুকের চামড়ার নিচে কেটে পকেট করে একটি বড় যন্ত্র বসিয়ে তার হার্টের সঙ্গে যুক্ত করা হতো যা কষ্টসাধ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে পায়ে একটি চ্যানেল করে তারের সাহায্যে হার্টে ওই ক্যাপসুল পেসমেকার স্থাপন করা হয় এবং এই অপারেশন করে দিনের দিন রোগী বাড়ি চলে যেতে পারে বলে জানান কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ। চীফ টেকনোলজিস্ট ক্যাথল্যাব শান্তনু চক্রবর্তী জানান আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভাবন এই তার বিহীন পেসমেকার মানুষের অনেক সুবিধা করে দিয়েছে তবে এই পেসমেকার তুলনামূলক ব্যয়বহুল। যার জন্য সম্ভব হলে মানুষের উচিত স্বাস্থ্যবীমা করে রাখা। সেক্ষেত্রে এই ধরনের আধুনিক পরিষেবা নিতে পরিবারের উপর কোন ভাবে চাপ পড়বে না। এমারজেন্সি মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন রোগী এই হাসপাতালে এলে আগে এমার্জেন্সি বিভাগে তাদের নিরীক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকেই আমরা রোগীর পরিস্থিতি বুঝে দ্রুততার সঙ্গে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উন্নত ব্যবস্থাপনায় ও উন্নত পরিষেবা দানকারী কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয় এবং তারপরেই এই আধুনিক বিজ্ঞান টেকনোলজির দান তারবিহীন পেসমেকার স্থাপন করার কাজ করা হয়, যা বর্ধমানের বুকে প্রথম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *