জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর নির্দেশে গত ৬ ই জুলাই থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে বীরভূমের তারাপীঠেও তৃণমূল কংগ্রেস একটানা পাঁচদিন বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস থেমে থাকেনি, দলনেত্রী নির্দেশিত সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচীর শেষ দিনে অর্থাৎ ১১ ই জুলাই গত প্রায় দশ বছর ধরে সারা রাজ্যের সঙ্গে সঙ্গে তারাপীঠের বুকে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কি কি জনমুখী কর্মসূচী গ্রহণ ও রূপায়ণ করেছে তাও সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে।
এই উপলক্ষ্যে গত ১১ ই জুলাই তারাপীঠে দুটি মিছিল বের হয়। রামপুরহাট ২ নং ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখার্জ্জীর নেতৃত্বে একটি মিছিল শুরু হয় চণ্ডীপুর দাশপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। যুব-মুখ তারক কুমার রায়ের নেতৃত্বে অপর একটি মিছিল শুরু হয় তিন মাথা মোড়ের দলীয় অফিস থেকে। দুটি মিছিলই মিলিত হয় পূর্ব সাগর মোড়ে। মিছিলে তারাপীঠের প্রতিটি বুথ সভাপতি সহ এলাকায় তৃণমূলের সুপরিচিত মুখ অহিন সেন, ধীরাজ ব্যানার্জ্জী, কানাই গুপ্ত, মৃন্ময় চক্রবর্তী, পৃথ্বিশ মণ্ডল, মলয় মণ্ডলরা পা মেলান। প্রচণ্ড বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বহু সাধারণ মানুষকেও মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায়।
মমতা ব্যানার্জ্জীর মস্তিষ্ক প্রসূত সবুজ সাথী, খাদ্য সাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প কিভাবে রাজ্যবাসীর উপকার করে চলেছে তা তারপীঠ বাসীর সামনে তুলে ধরা হয়। এছাড়া তারাপীঠের প্রতিটি বুথে নির্মিত ঢালাই রাস্তা ও ড্রেন তৈরির কথাও তুলে ধরা হয়।
সুকুমার বাবু বলেন – মমতা ব্যানার্জ্জীর উদ্যোগে বর্তমানে তারাপীঠ তীর্থক্ষেত্র তথা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে একটা আলাদা গুরুত্ব পেয়ে আসছে। আবার তাঁর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুফল রাজ্যের প্রতিটি মানুষ দৈনন্দিন জীবন থেকে উপলব্ধি করতে পারছেন। আগামী দিনে মমতা ব্যানার্জ্জীর হাতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রাখেন।