তারাপীঠ ও কঙ্কালিতলায় বৈদ্যুতিক চুল্লি চালুর নির্দেশ জেলাশাসকের

Spread the love

খায়রুল আনাম,

 তারাপীঠ ও কঙ্কালীতলায়  বৈদ্যুতিক চুল্লি চালুর নির্দেশ জেলাশাসকের
       
পরিবেশ দূষণরোধ সংক্রান্ত এক মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে  জাতীয় পরিবেশ আদালত  ২০১৪ সালে জেলা বীরভূম তথা  রাজ্য এবং দেশের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিত  তারাপীঠ মহাশ্মশানে খোলা চিতার মধ্যে শবদাহ করা থেকে বিরত থেকে, বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরী  করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের পরেই তারাপীঠ–রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ তারাপীঠে বৈদ্যুতিক  চুল্লি তৈরীর সিদ্ধান্ত নিয়ে তা দীর্ঘদিন ধরেই নানা টালবাহানায় ফেলে রাখে। পরবর্তীতে  বিষয়টি জাতীয়  পরিবেশ আদালতের গোচরে আনা হলে,   রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা  উন্নয়ন পর্ষদের এক শ্রেণীর  আধিকারিক  ২০১৬ সালে  রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে  এখানকার বৈদ্যুতিক চুল্লির  শিলান্যাস করেন। এরপর নানাবিধ  রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যে দিয়েই বছর দেড়েক আগে এখানকার বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরীর কাজ শেষ হয়। এই বৈদ্যুতিক চুল্লি পরিচালনার দায়ীত্ব দেওয়া হয় তারাপীঠ–রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদকে। কিন্তু  উন্নয়ন পর্ষদ এই বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু না করে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের মাস দেড়েক আগে ওই বৈদ্যুতিক চুল্লি পরিচালনার দায়ীত্বভার নিতে অস্বীকার করে। তারপর থেকেই রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের  ৬ কোটি টাকা ব্যায়ের  তারাপীঠের দু’টি বৈদ্যুতিক চুল্লি অভিভাবকহীন  অবস্থায় পড়ে রয়েছে।   যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন এখানে দূষণহীন যে দু’টি কাঠের চুল্লি রয়েছে সেখানে শবদাহ করা হলেও, তার ছাই এবং অন্যান্য আবর্জনা এখানকার দ্বারকা নদে ফেলে দূষণ ঘটানো হচ্ছে। অথচ জেলার মধ্যে তারাপীঠেই প্রথম তৈরী হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি।       ঠিক একইভাবে  দেখা যাচ্ছে, জেলার আরেক সতীপীঠ বোলপুর-শান্তিনিকেতনের পাশের কঙ্কালীতলাতেও বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরী হয়ে পড়ে থাকা সত্বেও, আজও তা চালু করা হয়নি। ২০১৮ সালে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কঙ্কালীতলার ‘বৈতরণী’ বৈদ্যুতিক  চুল্লি তৈরীর কাজে হাত দেয়  রাজ্যের পূর্ত দফতর। কিন্তু এটি তৈরী হওয়ার পরেই এর চিমনিটি ভেঙে যায় ঝড়ে। পরে সেটি সম্পূর্ণ করে ২০২০ সালে  বৈদ্যুতিক চুল্লিটি তুলে দেওয়া হয় কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে।  কিন্তু তারাও বৈদ্যুতিক চুল্লিটি অভিজ্ঞ লোকের অভাবে চালু করতে না পারার কথা বলে সেটি ফেলে রেখেছে।    বর্তমান এই পরিস্থিতিতে জেলাশাসক বিধানচন্দ্র রায়  নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিন দিনের মধ্যে তারাপীঠ এবং  সাতদিনের মধ্যে কঙ্কালীতলার শবদাহ করার জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু করার ব্যবস্থা করতে হবে। আর এই নির্দেশ পাওয়ার পরই  বুধবার ১৯ মে তারাপীঠের বৈদ্যুতিক চুল্লিটি চালু করার জন্য  পরীক্ষামূলকভাবে  তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। কঙ্কালীতলার   বৈদ্যুতিক চুল্লিটিও চালু  করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে।।       

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *