তিনদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ- ভারত বাণিজ্য শুরু
কাজী নূর।। টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু হয়েছে। এর আগে গত তিনদিন ধরে এ বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশে সব ধরনের পণ্য রফতানি বন্ধ রাখে ভারত। বুধবার দিনভর বেনাপোল বন্দরের পরিচালক, কাস্টমস ও সিএন্ডএফ এজেন্ট নেতারা পেট্রাপোল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য আমদানি রফতানি চালুর জন্য অনুরোধ জানান। এরপর পেট্রাপোল কাস্টমস, বন্দর ও সিএন্ডএফ এজেন্ট বুধবার বিকেলে যৌথ আলোচনায় বাংলাদেশে তাদের পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে পাঠাতে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুনরায় চালু হয় ব্যস্ততম বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সোমবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে আমদানি রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ভারতের পেট্রাপোল সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ করপোরেশন (সিডাব্লিউসি) কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক পাঠায়নি। বুধবার উভয় দেশের যৌথ সভার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমদানি রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দরের লোড আনলোডের কাজও চলেছে স্বাভাবিকভাবে।
জানতে চাইলে বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনদিন ধরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বুধবার বিকেলে স্থানীয় ও ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তারা আমদানি রফতানি চালুর কথা জানানোর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। যা এখনো চলমান। বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য লোড আনলোড চলছে। অনেকে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন। এদিন প্রায় ২১৯ ট্রাক পণ্য আমদানি ও ১৫১ ট্রাক পণ্য রফতানি করা হয়েছে। আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ আয়রন, কর্ন ডিডিজিএস, কাপড়, ব্লিচিং পাউডার, কোয়ার্টাইজ পাউডারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এছাড়া রফতানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, পাটের সুতা, কাঁচা পাট, খালি সিলিন্ডার ও জুতা।