থিয়েটার ক্যানভাস যশোর নিয়ে আসছে ‘অন্দরমহল’

Spread the love

থিয়েটার ক্যানভাস যশোর নিয়ে আসছে ‘অন্দরমহল’

কাজী নূর।। জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ির কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষ নীলমণি ঠাকুরের কথা। তিনিই তৎকালীন উত্তর কলকাতার চিৎপুর রোডের পূর্বদিকে মেছোবাজারে একটি বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। সেদিনের মেছোবাজার আজ মেছুয়া নামে পরিচিত। এক সময়ের বড় মাছের বাজার আজ কলকাতার সবচেয়ে বড় পাইকারি ফলের বাজার। জোড়াসাঁকোয় ঠাকুরবাড়ি আয়তনে যত বেড়েছে ততই ছোট হয়েছে সেদিনের মেছোবাজার। নীলমণি ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বাড়িটিই আজ গোটা বিশ্বের কাছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি নামে পরিচিত। এবার সেই ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের অন্দরমহলের জীবন কাহিনীকে
উপজীব্য করে নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে থিয়েটার ক্যানভাস যশোর। থিয়েটার ক্যানভাস যশোরের অন্যতম উপদেষ্টা এস এম নুরুজ্জামান বকুল জানিয়েছেন, ‘অন্দরমহল’ শিরোনামের নাটকটির লেখক, নির্দেশক ‘নৃত্য বিতান’ মধ্যমগ্রাম, কলকাতার পরিচালক শ্রীমতি সঞ্চয়িতা বসু। ইতোমধ্যে তিনি ভারত থেকে যশোরে এসেছেন এবং নাটকের নিয়মিত রিহার্সেল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এস এম নুরুজ্জামান বকুল আরো জানান, ‘অন্দরমহল’ নাটকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিনটি চরিত্র হিসেবে রূপায়িত হবে ভারতের নারী স্বাধীনতার পথিকৃৎ, ঠাকুরবাড়ির মেজ বৌ, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিণী, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৌদি জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্রবধূ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৌদি কাদম্বরী দেবী এবং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী। নাটকে জীবন, ভাব, আদর্শ ও মানসিক ঘাত- প্রতিঘাত তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ঠাকুর পরিবারে নারীদের বেড়ে ওঠা, তাদের নিজস্ব জীবন- চিন্তা, আকাঙ্ক্ষা, বঞ্চনা এবং সেকালের বাংলা ও ইউরোপের সমাজ কাঠামোয় নারীর অবস্থান উঠে আসবে। একইভাবে ঔপনিবেশিক নারী ও সমকালীন নারীর সামাজিক অস্তিত্বের মধ্যে পার্থক্য, সর্বোপরিভাবে কাদম্বরীর স্বামী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও দেবর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার সম্পর্কের নানা চিত্রও থাকবে নাটকে। নাটকটি আগামী ১৪ এপ্রিল যশোর ভৈরব পাড়ে মঞ্চস্থ হবে বলে জানান, ‘অন্দরমহল’ এর লেখক, নির্দেশক শ্রীমতি সঞ্চয়িতা বসু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *