থিয়েটার z প্রযোজিত আলোচনা চক্র ও একক নাটক
বৈদূর্য ঘোষাল,
গত পাঁচই মে থিয়েটার Z প্রযোজিত অন্তরঙ্গ আলোচনা থিয়েটার উৎসব পালিত হল অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে।অনুষ্ঠানের প্রথমেই ছিল অস্তিত্ব বিপন্ন অস্তিত্ব পণ্য শীর্ষক এক আলোচনা চক্র।অংশ গ্রহণ করেন নাট্যকার মৈনাক সেনগুপ্ত, উৎপল ফৌজদার, নয়না,সঞ্চয়িতা বসু ও কথা সাহিত্যিক ভাষা সংসদের কর্ণধার বিতস্তা ঘোষাল। আলোচনায় মুখ্য অতিথি বিতস্তা বলেন, আমাদের ব্যক্তি অস্তিত্ব সবসময়ই বিপন্ন, কারণ আমরা সমষ্টিগত অস্তিত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিয়ে ভালো থাকতে ভালোবাসি।আর তার ফলে কখন যে না চাইলেও আমরা পণ্য হয়ে যাচ্ছি তা নিজেরাও টের পাই না।এই অস্তিত্ব রক্ষা তখনই সম্ভব যখন পারস্পরিক ভালোবাসা শ্রদ্ধা ও শান্তি বজায় রাখতে পারব আমাদের চারপাশে।আমি থেকে আমরা হয়ে উঠতে পারলে তখনই একমাত্র সব সংকট দলবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করা সম্ভব হয়।যেকোনও শিল্প সৃষ্টির মূল মন্ত্র সংকট।তা ভালো বা মন্দ যাই হোক না কেন তার থেকে উত্তরণের আলো দেখায়। আমাদের মানে শিল্পীর কাজ আলোর অনুসন্ধান করা।
অন্যান্য বক্তাদের বলোচনাতেও উঠে আসে তাদের কাজের ক্ষেত্রে নানা সংকটের গল্প।
এই পর্যায়টির সূত্রধর হিসেবে ছিলেন নাট্যকর্মী ও প্রাবন্ধিক বিবেক চট্টোপাধ্যায়।
এরপর অন্তরঙ্গ নাট্যগোষ্ঠীর ত্রৈমাসিক মুখপত্র ” অপ্রকাশিত “প্রকাশিত হয়।এবারের বিষয় নাট্য ব্যক্তিত্ব ঊষা গাঙ্গুলি। সবশেষে জা পল সাত্রের গল্প অবলম্বনে শঙ্খ ঘোষের পরিচালনায় একঘণ্টার একক নাটক “আমি ” অভিনীত হয়। নামভূমিকায় বৃষ্টির অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করে রাখে।আগামী দিনে বৃষ্টি যে অত্যন্ত শক্তিশালী অভিনেত্রী হয়ে উঠতে চলেছেন এ নিয়ে কোনও সংশয় নিয়ে। শঙ্খ বলেন, তাঁদের লক্ষ ছোটো পরিসরে নাটকের মাধ্যমে বৃহত্তর সমাজের অস্তিত্বর যে সংকট তাকে ছোঁওয়া।অন্তরঙ্গ থিয়েটারের মূল ভাবনাটাই এমন।
এরপর অতিথিদের হাতে স্মারক সম্মান তুলে দেন সংগঠকরা।ভাষা সংসদের পক্ষ থেকেও গুণীজনদের বই উপহার দেওয়া হয়।