শনিবার থেকে শুরু হল দক্ষিণ বাঁকুড়ার সর্ববৃহৎ মেলা “শনি মেলা”
সাধন মন্ডল, বাঁকুড়া:- থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল ধর্মরাজের পুজো ও উৎসব এই বাৎসরিক উৎসব শুরু হয় প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ শনিবার। চলে সাত দিন ধরে এই উপলক্ষে মটগদা বাজারে একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত হয় বিগত দিনে এই মেলায় ছিল একমাত্র বড় মেলা বা বড় উৎসবের অনুষ্ঠান আজ থেকে ১৫ ২০ বছর আগেও মেলাতে আসতো চিড়িয়াখানা নাগরদোলা পুতুল নাচ স্টুডিও পাড়া বড় বড় মনোহারী দোকান শীল নড়া বাক্স পেটেরা থেকে শুরু করে লৌহজরত দ্রব্য ও জুতোর দোকান সাথে থাকতো বড় বড় মিষ্টির দোকান বর্তমানে সেই মেলা তার ঐতিহ্য হারিয়েছে বিভিন্ন কারণে আমি কত দিনে এলাকার বিভিন্ন মেলাতে মানুষজন তাদের গৃহস্থালির জিনিসপত্র কেনাকাটা করত বর্তমানে গ্রামেগঞ্জে দোকান হয়েছে মানুষজন তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য তাদের পাশাপাশি বাজার থেকে সংগ্রহ করে নেয় ফলে মেলায় সেই ভাবে আর বিক্রি করা হয় না তাছাড়া মোট গোদা বাজারে মেলা বসার মত উপযুক্ত জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে তাছাড়া এখন আর মেলাতে চিড়িয়াখানা পুতুল নাচ দেখতে পাওয়া যায় না। মটগোদা এই মেলা প্রসঙ্গে ও বাবা, ধন্যবাদ পুজো প্রসঙ্গে মন্দিরের সেবাইত অসীম পন্ডিত বলেন আমাদের পূর্বাপুরুষ বা বা ধর্মরাজের পুজো করে আসছেন বর্তমানে আমি বাবার পুরোহিত এছাড়া আমাদের বংশের অন্যান্য ভাইয়েরা রয়েছে সারা বছরই এখানে পুজো হয় বিশেষ করে মঙ্গলবার ও শনিবার মন্দিরে ভক্তের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এখানে মাঘ মাসের শেষ শনিবার বাৎসরিক উৎসব শুরু হয় এই দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা আছেন প্রতিবছরই ৩ থেকে ৪০০ ছাগ বলি হয়। আজ ভীম একাদশী হওয়ায় এ বছর ছাগবলী হয়নি আগামীকাল তা হবে। বাবা ধর্মরাজের মূল সত্য এখনো শ্যামসুন্দরপুরের রাজ পরিবারের হাতে রয়েছে। শ্যাম সুন্দরপুরের রাজবাড়ী থেকে বাবার পুজোর জিনিস আসে। পুজো উপলক্ষে মেলায় এলাকার মানুষজনদের নিয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয় সেখানে রাজ পরিবারের সদস্য রাজার সম্মান এবং সভাপতি পদ অলংকৃত করেন। রাজ পরিবারের সদস্য রামজি নারায়ন দেও বলেন মোটকথা গ্রাম ষোল আনা বিশিষ্ট মানুষজন সহ বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি পুরো মেলা পরিচালনা করেন। সর্বতোভাবে সাহায্য করেন রাইপুর থানা পুলিশ প্রশাসন। কমিটির অন্যতম সদস্য অজিত দাস বলেন আগের মত আর মেলা হয়নি। মেলা করার মত জায়গার অভাব রয়েছে তাছাড়া অতীতের মতো আর পুতুল নাচ, সার্কাস ,চিড়িয়াখানা মেলাতে হাজির হয়নি। তবুও এলাকার মেলা প্রেমী মানুষজন এই ঐতিহ্যবাহী মেলাটির দিকে তাকিয়ে থাকেন এবং বছরের কয়েকটি দিন আনন্দ উপভোগ করেন। এখানে উল্লেখ্য দক্ষিণ বাঁকুড়ার অন্যতম মেলা হল মটগোদার শনি মেলা।