দাগ
উজ্জ্বল দাস (কলকাতা)
এই তো সেদিন গতবছরেই
এমনই ঠান্ডা দিনে
বিকেল হয়েছে স’বে।
তুমি আর আমি বাঁশের সাঁকোটা ধরে
ওপারে নেমেছি কিচিরমিচির-
পাখিদের কলরবে।
ওরা ঘরে ফিরে গেল শেষে,
ঘরে ফিরে গেল প্রেয়সীকে ভালোবেসে।
তখনও তোমার হাতে হাত রেখে হাঁটি
তখনও তোমার সঙ্গে খেলছি
কিশোরী রান্নাবাটি।
সেদিন তোমার লংস্কার্ট মনেপড়ে !
সেদিন তোমার অনামিকা ছুঁয়ে চলা !
হয়তো সেদিন কিছু ভয় ভয় ছিল
সামনে পেয়েও হয়নি সে’কথা বলা।
এখনো ভাবছি কোথাও একটু বসি
এখনো ভাবছি তুমি ভুল বুঝে গেলে
সেই তুমি’টাই সত্যিই খোয়া গেলে !
আসলে কী জানো
আমায় ছেড়েই সব বুঝি তুমি পেলে !
তুমি এখন রাজনন্দিনী
অন্য শহরে অন্য কারোর কাছে।
আমার শহরে আর এসো না
দেখা হয়ে যায় পাছে।
ঘনঘন শ্বাস পড়েছিল কেন জানো?
শীতকাল, তবু ঘাম ছিল দুটো নাকে
কতটা গভীরে আগলে রেখেছি জানো?
কতটা হেসেছি কষ্ট পাবার ফাঁকে।
কথা দিয়ে যাও ভুলে যাবে তুমি
আমাকে রেখো না মনে
আমি ভালো আছি
ভালো আছি আমি
কিছুটা সংগোপনে।
কখনো কফিতে চুমুক দেবো না
নেব’না কখনো ভাগ,
কিন্তু কী জানো- রক্তক্ষরণ !
গোপনে স্পষ্ট দাগ।