দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ মহিলারা সামনের সারিতে,স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বার্ষিক হিসাবে পাচ্ছে চার হাজার  কোটি টাকা

Spread the love

দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ মহিলারা সামনের সারিতে

স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বার্ষিক হিসাবে পাচ্ছে চার হাজার  কোটি টাকা

         খায়রুল  আনাম

আর্থিক পরিকাঠামোগত দিক থেকে গ্রামীণ এলাকার মহিলারা এখন আর অবলা নন।  শাড়ির খোঁটে বাঁধা চাবির গোছা দুলিয়ে এখন আর তাঁদের অনেককেই দুপুরে গতর এলিয়ে অলস জীবনযাপন করতে দেখা  যায় না।  গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো রচনায় তাঁরাও এখন শরীক এবং গতরখাটানো পুরুষদের সহমর্মি  এবং সহযোদ্ধাও।  স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে তাঁরাও এখন রচনা করছেন গ্রামীণ অর্থ-নীতির এক নতুন অধ্যায়। দারিদ্র্য  দূরীকরণের ক্ষেত্রে যা নজির সৃষ্টি করছে।  রাজ্য সরকার  ২০১২ সালে যে ‘আনন্দধরা’ প্রকল্পের সূচনা করে,  সেই প্রকল্পই রচনা করছে নতুন অধ্যায়।

      সরকারিভাবে আনন্দধারা প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে সারাবছর ধরেই স্বনির্ভর  গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে। চলতি ডিসেম্বর  মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বীরভূম জেলার  ৪ হাজার ২৮৮টি স্বনির্ভর  গোষ্ঠীর মহিলাদের  ২৪৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।  ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত  স্বনির্ভর  গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়া টাকার পরিমাণ ৪০০  কোটি টাকা ছুঁয়ে যাবে বলে যেমন আশা করা হচ্ছে তেমনি,  বার্ষিক হিসাব অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ পূরণ হলে এই টাকার পরিমাণ  চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরফলে উপকৃত হবে  কমপক্ষে  ৭ হাজার স্বনির্ভর  গোষ্ঠী।  যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিতে ৩০ থেকে ১০০ জন করে মহিলা  রয়েছেন। এঁদেরই হাত ধরে  গ্রামীণ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে  বলে প্রমাণিত হচ্ছে। যাঁরা কাঁথাস্টিচ,  শান্তিনিকেতন ঘরানার চর্মশিল্প,  স্যানিটারি ন্যাপকিন, দুগ্ধজাত খাদ্য,  পুষ্টিখাদ্য তৈরী ও বিপননের  মধ্যে দিয়ে এই সাফল্য পাচ্ছেন।  অনেক বড় বাণিজ্যিক  সংস্থাগুলির সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যেই তাদের কাজের উৎকর্ষতার মধ্যে দিয়ে চুক্তিবদ্ধও হয়েছে। এরফলে স্বনির্ভর  গোষ্ঠীগুলি আরও সমৃদ্ধ  হবে  বলেই  আশা করা হচ্ছে ।। 

ছবি : কর্ম ব্যস্ততায় স্বনির্ভর  গোষ্ঠী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *