সুরজ প্রসাদ
দুই জেলার সমন্বয় বাড়াতে উচ্চপর্যায়ের সভা বর্ধমানে।উপস্থিত দুই জেলাত জেলাশাসক ; পুলিশের প্রতিনিধি ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।গত ২০১৭ সালের এপ্রিলে ভাগ হয়ে গেছে পুরনো জেলা বর্ধমান। নতুন জেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই দুটি নতুন জেলা জন্ম নেয়। প্রথাগতভাবে কৃষি অঞ্চল অর্থাৎ পানাগড়ের আগে অবধি পূর্ব বর্ধমানের মধ্যে পড়ে।অন্যদিকে দুর্গাপুর রাণীগঞ্জ আসানসোল সহ বির্স্তীর্ণ শিল্পাঞ্চল পড়ে পশ্চিম বর্ধমানে।২৭৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহভাগ অর্থাৎ ২১৫ টি পূর্বে যুক্ত হয়।আবার অন্যদিকে দু টি কর্পোরেশন অর্থাৎ দুর্গাপুর ও আসানসোল নগর নিগম পশ্চিমে চলে যায়। আবার অন্ডাল বিমানবন্দর পড়ে পশ্চিমে।প্রশাসনিকভাবে কাঁকসা সহ কিছু অঞ্চল পূর্ব বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের অধীনে হলেও এই এলাকাগুলি আবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের অধীনে।বেশ কিছু দপ্তর আবার এ জেলায় বা ও জেলায় রয়ে গেছে। তাদের দুটো জেলার কাজই দেখতে হয়।কিছুকিছু বিভাগ আবার অবস্থানের দিক থেকে দু জেলার মধ্যে পড়ে গেছে। এছাড়া কিছু রেল ওভারব্রীজ রয়েছে। রয়েছে রেল ও স্থলভাগের সেতু।রয়েছে বিরাট এলাকাজুড়ে দু নম্বর জাতীয় সড়ক।দু জেলার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে ডিভিশনাল কমিশনারের পৌরহিত্যের মধ্য দিয়ে বৈঠক হয়।উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল কমিশনার গোলাম আলি আনসারি; পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী ; পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি।এছাড়াও দুজেলার এ ডি এম ; পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ অফিসাররা অংশ নেনে। এছাড়া ও ভূমিসংস্কার দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক; ডিপিআরডিও; ডিপিএলও সহ প্রকল্প আধিকারিকরা ছিলেন।ঠিক হয়েছে আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দু জেলার সমন্বয় আরো বাড়ানো হবে। যেখানে যাদের যা সমস্যা আছে তার সব আলোচনা এদিন হয়।এরপর সমস্যা নিরসনে দুজেলার আধিকারিকরা একত্রে বসবেন। জেলা ভাগ হলেও কিছু বিভাগের কাজে এখনো মানুষকে বর্ধমানে আসতে হয়। এটা খুবই অসুবিধার। কীভাবে এর সমাধান করা যায় তা ভাবা হবে। কাঁকসা সহ লাগোয়া এলাকাতে কী করণীয় তা দেখা হবে। মোদ্দাকথায় দু জেলায় কাজের মধ্যে সমন্বয় এনে কাজের গতি বাড়ানো হবে। সাধারণ মানুষ যাতে আরো উন্নত পরিষেবা দ্রুত পান তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে।