মোল্লা জসিমউদ্দিন (টিপু ),
বিশ্বব্যাপী মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণ এড়াতে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত টানা সাতমাস মত। এখনো এই মহামারী রোধে কোন টিকা কিংবা ঔষধ আবিস্কার হয়নি। ইতিমধ্যেই বাংলা জুড়ে ৩ লক্ষের বেশি করোনা পজিটিভ মিলেছে৷ সেইসাথে ঘটেছে ৬ হাজারের কাছাকাছি প্রাণহানি । ধর্মীয় এবং জাতিগত উৎসব একপ্রকার বর্ণহীন বলা যায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকায় সার্বিক গণ উৎসব পালনে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বাংলার চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের তরফেও দুর্গাপূজায় করোনা পজিটিভ সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার আশংকা করা হয়েছে। এমনিতেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে নানারকম অভিযোগ প্রায়শই দেখা যায়। করোনা ভাইরাসের গুরত্ব অনুভব করে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারীর মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে যে – ‘ হাইকোর্টের অলিন্দে আইনজীবী – লক্লাকরা যেত অযথা ভিড় না করে। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের আইনজীবীদের সশরীরে উপস্থিতিতে অনুমতির বৈধতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অজয় কুমার দে নামে এক আবেদনকারী আসন্ন দুর্গাপূজা বন্ধে জনস্বার্থ মামলা ঠুকেছেন । যার আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা প্রবল বলে জানা গেছে । মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টপাধ্যায় জানিয়েছেন – ” করোনার ভয়াবহতার জন্য ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার তাদের সবথেকে বড় উৎসব গণেশ পুজো বন্ধ রেখেছে। এমনকি মহরম পালনে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। কেরালায় ওনাম উৎসব ( পোঙ্গল) পরবর্তীতে দেখা গেছে হু হু করে করোনা পজিটিভ সংখ্যা বেড়েছে। তাই আসন্ন দুর্গাপূজায় মন্ডপে মন্ডপে ব্যাপক ভীড় এড়াতে দুর্গাপূজা বন্ধের আবেদন রাখা হয়েছে মামলার পিটিশনে “। তবে রাজ্য সরকার যেভাবে ৫০ হাজার টাকার সরকারি অনুদান মঞ্জুর করে চেক বিলি পর্ব একপ্রকার শেষ করে রেখেছে তাতে দুর্গাপূজায় আয়োজকরা বাড়তি উৎসাহ পেয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলে ৫০% ছাড় এবং দমকল বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পুজো কমিটির অগ্রিম অর্থ মকুবও করেছে রাজ্য সরকার । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দুর্গাপূজা বন্ধে জনস্বার্থ মামলার শুনানির দিকে তাকিয়ে সবমহল।