দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা,
নীহারিকা মুখার্জ্জী,
স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে প্রভাবিত ও
অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষিত ভারতবাসী গড়ার লক্ষ্যে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্ৰামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘মাসুন্দী মহিমাচরণ মিশ্র মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল সোসাইটি’ গত ১৪ বছর ধরে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রী ও দুস্থ পরিবারগুলির দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে চলেছে। তাদের ভ্রাম্যমান পাঠাগার ‘প্রেরণা’-র মাধ্যমে তারা জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি মত ৩০ শে জুলাই কেতুগ্ৰাম থানার কান্দরা জে. এম. উচ্চ বিদ্যালয়, খাটুন্দী উচ্চ বিদ্যালয় ও পালিটা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হয়। পাঠ্যপুস্তক হাতে পেয়ে দীপ মন্ডল, মনোজিৎ ঘোষ, সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ, সৈয়দ ইমানুল কাদেররা খুব খুশি। তাদের বক্তব্য – এবার তাদের পড়াশোনা করতে সুবিধা হবে।
প্রসঙ্গত কোন প্রকার সরকারি অনুদান ছাড়াই সংস্থার সম্পাদিকা অনামিকা চক্রবর্তী ও সংস্থার কয়েকজন সক্রিয় কর্মীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং কিছু সহৃদয় ব্যক্তির সহযোগিতায় সংস্থাটি একটানা ১৪ বছর ধরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে। এই সংস্থা শুধু একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য পুস্তকই দেয়না, দীর্ঘদিন ধরে একক প্রচেষ্টায় প্রত্যন্ত এলাকার দুস্থ পরিবারের হাতে কম্বল, শীতবস্ত্র, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় উৎসাহ পুরস্কার এবং সাধ্যমত চিকিৎসা পরিষেবাও দিয়ে আসছে।
পুস্তক বিতরণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন সন্তোষ কুমার হাজরা। তিনি বললেন- যে কোন মানবপ্রেমী মানুষের এই সংস্থার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ। সেক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক দুস্থ ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।
সংস্থার সম্পাদিকা অনামিকা দেবী বললেন- নানা ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের সংস্থার প্রত্যেক সদস্য সক্রিয় থাকার জন্য আমরা ছাত্রছাত্রীদের হাতে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি। আশাকরি সবার সহযোগিতায় আগামীদিনেও আমরা সমাজের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা পালন করতে পারব।