দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু
জাহির আব্বাস, বর্ধমান:
বর্ধমান ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ১০ টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন হয় শনিবার। সেগুলি হল, ঘাটশিলা, শক্তিগড়, আমড়া, কাঁদরসোনা ও হৈরগ্রাম। জানা গেছে, এখন ব্লকে ২১টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্র গুলির উপর ভীষণ চাপ পড়ছিল। আরো কেন্দ্র চালু হলে মানুষের হয়রানি কমবে। ঘাটশিলা গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, বর্ধমান ২ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুবর্ণা মজুমদার, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার, কৃষি কর্মধ্যক্ষ পরমেশ্বর কোনার , বিদ্যুৎ কর্মধ্যক্ষ সনৎ মন্ডল, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ন্যায়ভিষেক যশ, যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাম দাস, জেলা তৃণমূল সংখালঘু সেলের সহ সভাপতি শরিফুল মন্ডল, প্রধান মধুছন্দা রায়, উপপ্রধান তুহিন কোনার,জামশেদ আলি, শিক্ষক জাহির আব্বাস প্রমুখ।
বাগবুল বাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গ্রামবাংলার এইসব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির জন্যই আজ শিশু ও প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর হার কমেছে। তিনি সরকারি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে আধুনিক টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
বিধায়ক নিশীথ বাবু বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির চাপ কমাতে ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছাতেই রাজ্য সরকারের এই ধরনের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালুর ভাবনা।
সুবর্ণা মজুমদার বলেন, সরকারি পরিসেবাকে যেমন মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা হচ্ছে, তেমনিভাবে স্বাস্থ্যপরিসেবাকেও মানুষের আরো কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই ধরনের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ন্যায়াভিষেক বাবু তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বাস্থ্যবিধির নানা দিক তুলে ধরেন। এলাকার মানুষ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র পেয়ে ভীষণ খুশি। উল্লেখ্য, ঘাটশিলা গ্রামের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির জন্য জমি দান করেন সেখ কওসার আলি ওরফে লালু হাজী। আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি গণ মহৎ উদ্দেশ্যে এই জমি দানের জন্য কওসার বাবুর ভুয়সী প্রশংসা করেন।