জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জি
রাজনীতিতে সাফল্য লাভের অন্যতম পথ হলো জনসংযোগ। নিয়মিত ও নিরবচ্ছিন্ন জনসংযোগ একজন জনপ্রতিনিধিকে সহজেই সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তো বটেই করোনা পরিস্থিতিতে সেই জনসংযোগের মাত্রা অনেক বেশি যেন বাড়িয়ে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার।
দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী নির্দেশিত সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচী শেষ করার পর গত ১২ ই জুলাই তিনি আউসগ্রাম ২ নং ব্লকের দেবশালা অঞ্চলের ভাতকুণ্ডা গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচী পালন করেন।তার সঙ্গে ছিলেন কার্যকরী সভাপতি সেখ লালন, অঞ্চল সভাপতি হেমাংশু মণ্ডল, বুথ সভাপতি চঞ্চল বক্সী, কাদের মণ্ডল, মণির মোল্লা সহ তৃণমূলের স্হানীয় নেতা-কর্মীরা।
প্রতিটি বক্তা বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতি কিভাবে দেশের মানুষের সর্বনাশ করছে তা উপস্থিত গ্রামবাসীর সামনে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে গত প্রায় দশ বছর ধরে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী কর্মসূচী কিভাবে রাজ্যের মানুষের উপকার করছে তাও তুলে ধরেন। লালন বাবুতো বলেই দিলেন – বিজেপি যতই সমালোচনা করুক, কন্যাশ্রী বা ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার বা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি রাজ্য সরকারের দক্ষতার পরিচয় বহন করে।
বিধায়ক বলেন- গুসকরা শহর হোক বা আউসগ্রামের দুই ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত ও বুথে পেয়েছি অসংখ্য যোগ্য সহকর্মী। দুই ব্লকের সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতিরাও সর্বদা পাশে থেকেছেন। এছাড়া মাথার উপর আছেন ‘দাদা’ অনুব্রত মণ্ডল। ফলে আমার পক্ষে জনসংযোগ করা খুব সহজ হচ্ছে। লকডাউন জনিত নিষেধাজ্ঞার কারণে একটু সমস্যা হলেও আগামী দিনে আমরা প্রতিটি বুথের মানুষের কাছে হাজির হব।