নবনির্মিত মন্দিরের দ্বারঘটন ও বস্ত্র বিতরণ ভাতারে
সেখ মিলন (ভাতার, পূর্ব বর্ধমান) মহাপ্রভু সম্প্রদায়ের মন্দিরের দ্বারঘটন ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ভাতারের বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলডাঙ্গা গ্রামে। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েতের নীলডাঙ্গা গ্ৰামে নবনির্মিত মহাপ্রভু সম্প্রদায়ের মন্দিরের আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বারঘটন করেন ভাতারের বিশিষ্ট সমাজসেবী চিরঞ্জীব সামন্ত ওরফে নয়ন সামন্ত। পাশাপাশি এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়াতে শতাধিক মানুষের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেন নয়ন বাবু। তবে এই শ্রীকৃষ্ণের মন্দির ঘিরে রয়েছে নানান ইতিহাস। এলাকাবাসীরা জানান, ভাতারের নীলডাঙ্গা গ্রামের মহাপ্রভু সম্প্রদায়ের মন্দির শতাব্দী প্রাচীন। সেই সময় গ্রামে মহামারী শুরু হয়। গ্রামের এক মহিলার স্বপ্নাদেশ পেয়ে প্রথমে পারিবারিকভাবে রাধা কৃষ্ণের পুজো পাঠ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে মাটির মন্দির ও টিনের আটচালার মধ্যেই মহাপ্রভুর নিত্যসেবা হতো। ভক্তির সহকারে এলাকার ধ্যানে জ্ঞানে মানেন। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীদের ইচ্ছা ছিল ওই স্থানে মহাপ্রভু সম্প্রদায়ের মন্দির স্থাপন করা। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এবং স্থানীয় সমাজসেবী নয়ন সামন্তের প্রচেষ্টায় গ্রামবাসীদের ইচ্ছা পূরণ হয়। নবরূপে নির্মিত হয় মহাপ্রভু সম্প্রদায়ের মন্দির। বৃহস্পতিবার নব নির্মিত মন্দিরের ফিতে কেটে শুভ উদ্বোধন করেন সমাজসেবী নয়ন সামন্ত। পাশাপাশি শতাধিক মানুষের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেন নয়ন বাবু। এলাকাবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নয়ন বাবু বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজকর্ম করে থাকেন। একদিকে যেমন মন্দির নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা করেছেন পাশাপাশি এলাকার মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিনিয়ত যেকোনো উৎসবের প্রাক্কালে এলাকার মানুষদের পাশে দাঁড়ান । এদিন ও শতাধিক মানুষের হাতে নতুন পোশাক তুলে দেন তিনি। নতুন পোশাক হাতে পেয়ে খুশি এলাকার মানুষজন। তারা নয়ন বাবুর এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পথ চলার বার্তা নয়ন বাবু।