নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটির শীতবস্ত্র প্রদান

Spread the love

নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটির শীতবস্ত্র প্রদান

সেখ সামসুদ্দিন, ৪ জানুয়ারিঃ চার হাজার মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেয় নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হলো নাগরিক জন কল্যাণ সোসাইটি। সারা বছর ধরে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যায়। কখনও অসহায় দুঃস্থ মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী, কখনও দুর্গাপুজোয় মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া, ঈদে অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নতুন বস্ত্র উপহার, কখনও করোনা কালে টানা মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া আবার এই সময়েই মহিলাদের দিয়ে টানা সাত দিন ধরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকে তারা। যার মূল দায়িত্বে থাকেন সংস্থার সভাপতি মেহেমুদ খান। তাকে সহায়তা করেন কোষাধক্ষ্য ভূতনাথ মালিক। প্রতিবছর নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি শীতকালে কম্বল উপহার দেন। মেহেমুদ খান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে তাঁর এই কাজ জনমানসে গভীর প্রভাব ফেলেছে। আজ জামালপুর নেতাজী ময়দানে প্রায় ৪০০০ অসহায় দুঃস্থ মানুষকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কম্বল উপহার দেন। এই অনুষ্ঠানে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, বিডিও পার্থ সারথী দে, বিশিষ্ট সমাজসেবী রাসবিহারী হালদার, স্বরাজ ঘোষ দুই জেলা পরিষদের সদস্য কল্পনা সাঁতরা ও শোভা দে সহ অন্যান্যরা। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এটাই চান সরকারী সাহায্য ছাড়াও রাজনীতির সাথেও যুক্ত আছেন আবার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত আছেন তারা এগিয়ে এসে মানুষের পাশে দাঁড়ান। তিনি নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটির সভাপতি মেহেমুদ খানের ভুয়সী প্রশংসা করেন। সারা বছর বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন বলে। সদর দক্ষিণ মহকুমা শাসকও মেহমুদ খানের প্রশংসা করেন এইভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সরকারের সঙ্গে স্বেচ্ছা সেবী সংস্থাগুলি যদি এই ভাবে এগিয়ে আসেন তাহলে মানুষের সমস্যা অনেক কমে যাবে। বিধায়ক অলক কুমার মাঝি মেহেমুদ খানের প্রশংসা করে এই সোসাইটির সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।মেহেমুদ খান বলেন তাদের এই সংস্থার বয়স হলো ২০ বছর। তারা বিভিন্ন ভাবে বছরের বিভিন্ন সময় মানুষের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করেন। আর তারই একটা প্রয়াস আজকের এই কম্বল উপহার। যারা তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এই উপহার নেন তাদের তিনি প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা জানান। এইভাবেই আগামীতে আরো কাজ করে যেতে চান তিনি। তিনি আরো বলেন এই কাজের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। তাকে দেখেই তিনি এই কাজ করে যাবার চেষ্টা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *