নাটক ‘মা মুঝে টেগোর বানা দে’, মঞ্চস্থ হয় দুবরাজপুরে
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:- নাট্যজগতে এক উজ্জ্বল ব্যাক্তিত্ব শাঁওলী মিত্র।যার ঐতিহ্য ও পরম্পরা আছে বাংলার নাট্যজগতে।সেই চিন্তা ভাবনা থেকে পিছিয়ে নেই দুবরাজপুরের নারীরাও। তাই সোমবার বৈকালে দুবরাজপুর শহর এলাকায় মহিলা পরিচালিত নাট্যগোষ্ঠী “সেঁজুতির” ব্যবস্থাপনায় “মা মুঝে টেগোর বানা দে” নামক একক নাটকটি মঞ্চস্থ হয় দুবরাজপুর পৌরসভার হল ঘরে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে নাট্যানুষ্ঠানের শুভসূচনা করেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে ও দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। এদিন সুদূর জম্মু থেকে নাটকটি মঞ্চস্থ করতে আসেন ভারতের বিশিষ্ট নাট্যকার লাকি গুপ্তা।উল্লেখ্য নাটকটি আজ ১২৪৪ তম হিসেবে মঞ্চস্থ হয়। নাট্যশিল্পী লাকি গুপ্তাকে উত্তরীয় পরিয়ে এবং মেমেন্টো দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় সেঁজুতির পক্ষ থেকে। জানা যায় যে,”মা মুঝে টেগোর বানা দে” নাটকটি হিন্দি ভাষায় পরিবেশিত হয়। বর্তমান ডিজিটাল যুগে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরা মোবাইলের নেশায় আসক্ত। কবিতা বা ছড়া লেখা, বই পড়া থেকে বিরত রয়েছে। কিন্তু এই নাটকের মধ্যে শিক্ষামূলক হিসেবে লেখা পড়া করে একটি ছেলের টেগোর হওয়ার স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। নাট্যশিল্পী লাকি গুপ্তার অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের। এদিন নাটক দেখতে হাজির ছিলেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে, দুবরাজপুর রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, দুবরাজপুর পৌরসভার নির্বাহী আধিকারিক দেবাশিষ পাত্র, সেঁজুতি নাট্য গোষ্ঠীর সম্পাদিকা সুমনা চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা আইনজীবি স্বরূপ আচার্য্য, বিশিষ্ট শিক্ষক রামতনু নায়ক, অরিন্দম চ্যাটার্জি সহ এলাকার নাট্যপ্রেমী মানুষজন।