“নাট্যোৎসব একটি অন্যতম শিক্ষার অঙ্গ”-সেঁজুতি নাট্য উৎসবে সাংসদ শতাব্দী রায়
সেখ রিয়াজুদ্দিন বীরভূম:-
বর্তমান যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে মোবাইলের প্রতি আসক্তি লক্ষনীয়।কমে গেছে খেলাধুলার চর্চা।আর নাটক তো এখন গ্রামেগঞ্জে তথা মফস্বল এলাকায় একটি বিরল দৃষ্টান্ত ।এতদসত্ত্বেও দুবরাজপুরের মহিলা পরিচালিত সেঁজুতি নাট্য সংস্থা চার দিনব্যাপী সেঁজুতি নাট্য উৎসব ও বিজয়িনী নাট্য সমারোহ ২০২৪ পালন করেন মহাসমারোহে।মঙ্গলবার ছিল তার শেষ দিন। চার দিন ধরে চলা অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা তথা সেঁজুতির কর্ণধার সুমনা চক্রবর্তীর ডাকে গত ৬ ই জানুয়ারি দুবরাজপুর অগ্রদূত সংঘের মঞ্চে নাট্য উৎসব ও বিজয়িনী নাট্য সমারোহ ২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শতাব্দী রায়।উদ্বোধন করে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন নাট্যোৎসব একটি অন্যতম শিক্ষার অঙ্গ।তিনি বলেন আমি যেমন তিনশোর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি পাশাপাশি সাংসদ হিসেবে মানুষের হয়ে, মানুষের কাজে ছুটে যায়। যেমন আজকে এসেছি সেঁজুতির ডাকে। বর্তমানে নাটকের যে প্রয়োজনীয়তা তা স্বীকার করে নেন এবং বলেন যে কেউ ডাকলে বা এই রূপ অনুষ্ঠানে ডাক পেলেই তিনি আসবেন এবং সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
এদিন নাট্যমঞ্চ থেকেই বিশিষ্ট অভিনেতা সুবিনয় দাসকে জীবন কৃতি সম্মাননা দেওয়া হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য গত চার দিন ধরে এই নাট্য উৎসবে বারোটি নাটক প্রযোজনা হয় ।কলকাতা সহ বীরভূম জেলা ও বীরভূমের বাইরেও বহু নাট্য সংস্থা এই চার দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের নাটক মঞ্চস্থ করেন। সেঁজুতির কর্ণধার সুমনা চক্রবর্তী নাটকের শেষ দিন অর্থাৎ ৯ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে জানান এরূপ আয়োজনে মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি যথেষ্ট। আগামী দিনে আবারও এই ধরনের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন দৃপ্ত কন্ঠে।