নাবালিকার বিয়ে বন্ধ জেলা পুলিশের সহযোগিতায়
গতকাল রাত ১১ নাগাদ বর্ধমান সহযোদ্ধার কাছে খবর আসে বেলকাস গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কাশিমপুর এই জায়গায় একটি নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে।রবিবার দিন বরযাত্রী আসবে বিয়ে করতে সকালে।
সহযোদ্ধা থেকে বিষয়টি তৎক্ষণাৎ জানানো হয় মহিলা থানায়।এদিন রাত বারোটা নাগাদ ওই জায়গায় জেলা পুলিশের সদর থানা ,মহিলা থানার যৌথ অভিযানে এবং চাইল্ড হেল্প লাইনের সহযোগিতায় ওই জায়গায় পৌঁছে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার কথা বলা হয়।
নাবালিকার বাড়ি থেকে এ দিনের বিয়ের জন্য সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল।চলছিল Pre wedding shoot, পাশাপাশি চলছিল রান্নাবান্নার আয়োজন। নাবালিকার বাড়িতে প্রথমে নাবালিকার বয়স অস্বীকার করা হয়। পরে তার বয়সের প্রমাণপত্রে দেখা যায় তার বয়স ১৭ বছর এবং কয়েক মাস। নাবালিকার বাড়িতে তার মা এবং পরিবারের লোকজনদের কে বলা হয় এই বিয়ে বন্ধ করার জন্য, পাশাপাশি আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার নাবালিকাকে নিয়ে তার মাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি সেখানে আসতে বলা হয়। এবং নাবালিকার মাকে দিয়ে একটি মুচলেকাতে সই করানো হয়।
নাবালিকার বিয়ে নদীয়া জেলায় হচ্ছিল। সমস্ত কিছুর আয়োজন হয়ে গিয়ে বিয়ের নিয়ম নীতি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
বর্ধমান মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কবিতা দাস, চাইল্ড লাইন থেকে দুজন অফিসার এবং কর্মী মহিলা সঙ্গে বর্ধমান সহযোদ্ধার পক্ষ থেকে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতায় এই বিয়ে অবশেষে বন্ধ করা যায়।
এই বিষয়ে চাইল্ড হেল্প লাইন এর পূর্ব বর্ধমান জেলার থেকে অভিজিৎ চৌবে জানান, বর্তমানে নাবালিকা বিয়ের বন্ধে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সচেতনতামূলক অনেক কর্মসূচি করার ফলে অনেক কম হয়েছে। আরো সচেতনতা করাতে হবে মানুষের মধ্যে।