নিস্ক্রিয় পুলিশদের সক্রিয় করতে হাইকোর্টের দারস্থ ভুক্তভোগী আইনজীবী

Spread the love

মোল্লা জসিমউদ্দিন,


পথেঘাটে কিংবা বাড়ীর আনন্দময়  অনুষ্ঠানে হিজরেদের প্রায়শই দেখা যায়।দশবিশ থেকে দুশো – পাঁচশো টাকা অনেকেই খুশি মনে দিয়ে থাকেন। সেটা অবশ্য  আন্তরিকতার খাতিরে। তবে বর্তমান সময়ে হিজরেদের তোলাবাজি সূরে সীমাহীন দাবি ক্রমশ বাড়ছে। কারও কারও বাড়ির নবাগত সন্তান কে  নিজেদের কাছে রেখে ব্লাকমেল করার ট্রাডিশন হিজরেদের মধ্যে দেখা যায়।তার উপর এহেন বিনা পরিশ্রমে তোলাবাজি রোজগারে কেউ কেউ হিজরে সাজছে। তর্কবিতর্ক, অভিযোগ পাল্টাঅভিযোগ  এর মধ্যেই  হিজরেরদের অত্যাচারে অতিস্ট হয়ে নিস্ক্রিয় পুলিশদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দারস্থ হলেন এক আইনজীবী। শুক্রবার পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলাটি দাখিল হয়। এই মামলার আইনজীবী রয়েছেন শীর্ষেন্দু সিংহরায়।আর ভুক্তভোগী মামলাকারী আইনজীবী হলেন মুকুল বিশ্বাস মহাশয়। এই মামলায় রাজ্য সহ ডিজি, এসপি,  এসডিপিও এবং আইসি কে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। মূলত রাজ্য পুলিশের দায়বদ্ধতা, নাগরিকদের প্রতি কর্তব্যপরায়নার প্রশ্নে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। জানা গেছে, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মুকুল বিশ্বাস তাঁর বসতবাড়ি নদীয়ার চাকদায়। গতবছর অক্টোবর মাসে তাঁর বাড়ির মধ্যে থাকা চেম্বারে কয়েকজন হিজরে নগদ কুড়ি হাজার টাকা দাবি করে।করোনা আবহে লকডাউনে কর্মহীন হিজরেদের ওই বিপুল অর্থ দাবিটি ছিল।ল ক্লাক সাথে থাকা ওই আইনজীবীও জানান – ‘লকডাউনে আদালত বন্ধ থাকায় তারাও আর্থিক কষ্টর মধ্যে রয়েছে’। অভিযোগ, তারা ওই আইনজীবীর চেম্বারে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সময় চাকদার আইসি কে ওই আইনজীবী ফোনে বিষয়টি জানিয়ে ঘটনাস্থলেপুলিশ পাঠানোর  আবেদন জানান। পুলিশি সহযোগিতা তো দূর অস্ত, উল্টে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।  দাবি, আইসি বিষয়টি সালিশির ( হিজরের সাথে কথা বলে)  মাধ্যমে কমসম দিয়ে নিস্তার পাবার উপায় বলে দেন।চাকদা আইসি কে ফোনে জানিয়ে সুরাহা না মেলায় এসডিপিও কে ফোনে জানান ওই আইনজীবী। সেখানেও কোন আশা ভরসা পাননি ভুক্তভোগী আইনজীবী। গতবছর ৭ অক্টোবর নদীয়া এসপি সহ রাজ্যের ডিজিপি কে চিঠি পাঠিয়েদেন ওই আইনজীবী। সেখানে সেদিনকার ঘটনার বিবরণ সহ পুলিশের বিভিন্ন আইন উল্লেখ করে বিষয়টি জানানো হয়। এই চিঠি জানাবার সময়কাল তিনমাস অতিক্রম করলে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হন এই আইনজীবী। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির  ডিভিশন বেঞ্চে এই রিট পিটিশন টি দাখিল হয়েছে। যেখানে রাজ্য সহ নদীয়া এসপি, এসডিপিও ( রানাঘাট) , আইসি ( চাকদা)  কে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে। যদিও পুলিশের তরফে পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ টি অস্বীকার করা হয়েছে। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় পুলিশ কে কি নির্দেশ দেয়? 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *