সাধন মন্ডল,
দলীয় নেতার মূর্তি ভাঙ্গা কে কেন্দ্র করে রায়পুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গতকাল বিকেলে স্থানীয় মানুষজন লক্ষ্য করেন মূর্তিটির মাথার উপরে কিছুটা অংশ ভাঙ্গা রয়েছে তারপরেই দলীয় কর্মীরা ও পরিবারের সদস্যরা কার্যালয়ের সামনে হাজির হয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তবে কে বা কারা এবং কখন মূর্তি ভাঙার চেষ্টা করেছেন তা জানা যায়নি। করোণা ও লকডাউন এর কারণে কার্যালয়ে দলীয় কর্মীদের উপস্থিতি সেভাবেই নেই তাই বিষয়টি নজরে আসতে দেরি হয়েছে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য ১০১৬ সালে মটগোদা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে বেরোনোর সময় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন জঙ্গলমহলের দাপটে তৃণমূল নেতা অনিল মহাত.। সেই সময় তার মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়েছিল। তার মরদেহ মেয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ থেকে তার মরদেহ যখন গ্রামের বাড়িতে আসে তখন প্রায় চল্লিশটি গাড়ির কনভয় ছিল। কাতারে কাতারে মানুষ হাজির হয়েছিল তার গ্রামের বাড়িতে। পরে দলীয় কর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্যামসুন্দরপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে একটি আবক্ষ মূর্তির স্থাপন করেন। প্রয়াত অনিল মাহাতর স্ত্রী তথা রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুলেখা মাহাত অভিযোগ করে বলেন তার স্বামীর আবক্ষ মূর্তিতে ভাবি কিছু জিনিস দিয়ে আঘাত করে ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছে। এর আগেও একবার এই মূর্তি ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঘটনা যাই হোক মূর্তি ভাঙ্গার পেছনে কারা জড়িয়ে আছেন তাদের খুঁজে বার করার দাবি জানিয়েছেন শহীদ অনিল মাহাতর পরিবার ও দলীয় কর্মীরা। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।