নীলাঞ্জন জ্বেলে দিয়ে যাও প্রদীপখানি
মৌসুমী মুখার্জী (খড়গপুর)
সেদিন যে দীপ নিভলো অকাল সমীরণে,
আজও পরে আছে তা ঘরের এক কোণে।
হঠাৎ ঝড়ে টালমাটাল …. সবটাই জানে নক্ষত্র লোক,
পুঞ্জীভূত অভিমানী দেমাক … তাতে
অন্তর্ভুক্ত হোক।
ভালোবাসার নিরুত্তর হাতছানি, আজ দ্রাঘিমাংশ জুড়ে,
আলেয়া রয়েছে ঘিরে….. শুনশান সব , দিকশূন্যপুরে।
শব্দরা জট পাকায় ঘরের আনাচে কানাচে , নীরব অন্ধকার,
স্তব্ধ হয়েছে, প্রতি উত্তরে কলম আমার।
নিশি যাম, শুধাই তাদের কিছু কী আর নেই বাকি?
যতটা চেয়েছি নগন্যই ছিলো সে…..
আজ দেখি সবটাই ফাঁকি।
মিছে অহংকার মিছে আভরণ , মিছে আকুলতা,
রেখেছি পিঞ্জরে আবদ্ধ করে, শ্মশানসম কলরবহীন নীরবতা।
আখরের মালায় শব ঢাকে নাকো…যন্ত্রনা হাহাকার….
নীলাঞ্জন জেলে দিয়ে যাও, যা নিভিয়েছো তুমি,
সুখ প্রদীপ আমার।